অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত "মৃত্তিকা" বইটির সহজ কথন ও প্রাঞ্জল ভাষার কাব্যগুলো নিমিষেই নিয়ে যাবে সুরের ভূবনে। প্রথম কাব্যের স্থায়ীটুকু এমন--- "বন্ধুর সাথে একটু সময় বন্ধুর হাত ধরি, বেলা অবেলায় মন যখন চায় বন্ধু তোমায় পড়ি।। বই আর আমি দুই সহচর যখন যেখানে যেমন, তুমি ছাড়া বল উত্তম বন্ধু কোথায় পাব এমন।" কথার গভীরতা আর ছন্দের অলংকরণে আছে সাহিত্যের মাধুর্যতা। শেষ কাব্যের অংশ বিশেষ হৃদয় ছোঁয়া--- "তুমি কেমন করে বুঝবে বলো চোখের এই নোনা পানির দাম।। বুঝবে তুমি বুঝবে তখন, হৃদয় ক্ষত হবে যখন।। নয়ন গলে পড়বে তা, ঝরবে অবিরাম তুমি বুঝবে সেদিন নোনা পানির দাম ও বন্ধুরে, তুমি বুঝবে সেদিন নোনা পানির দাম।" মৃত্তিকা বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা জীবনের নানান অনুভূতির কথা বলে। প্রতিটি কাব্যের অন্তরালে এক একটি কথা লুকায়িত যেন। এই যে হাওরের বুকে ভরা জোছনায় মৃদু ঢেউয়ের ঝিকিমিকি; যে অনুভব করে সে জানে কতটুকু তার ভালো লাগা। ভরা বর্ষার হিজল ফুল, কংশ আর ব্রহ্মপুত্র, মাটি ও মানুষের সাথে নিবিড় সখ্যতা, বিচিত্র সব মানুষের নানা অভিব্যক্তি, প্রেম বিন্যাস, মরমী অনুভূতির নানান রসদ যা এই "মৃত্তিকা" কাব্যে স্তরে স্তরে সাজানো। এ এক অনন্য গীতি সংকলন, বাংলা সাহিত্যে যেন এক নতুন পালক সংযোজন।