সন্তান-সন্ততি বান্দার প্রতি আল্লাহর উপহার। কারণ, সুসন্তান জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ। সন্তানকে মানবজীবনের সৌন্দর্য ও রূপ বলা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। খুব ভালোভাবে যদি লক্ষ্য করেন তাহলে সুরা কাহাফের ৪৬ নং আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘সম্পদ ও সন্তানাদি দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য।’ আবার সুরা তাগাবুনের ১৫ নং আয়াতে তিনি বলেন – ‘নিশ্চয়ই তোমাদের সম্পদ ও সন্তান পরীক্ষা স্বরূপ। আর আল্লাহর কাছে রয়েছে উত্তম প্রতিদান।’ উপরের দু্ আয়াতে আমরা সন্তান সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালআর দুই ধরণের ঘোষণা দেখতে পাই। এটা স্পষ্টত যে যদি সঠিক ইসলামী প্যারেন্টিং আয়ত্ব করতে পারেন তবে সন্তান হবে ‘দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য’। আর যদি ইসলামী প্যারেন্টিংয়ে উদাসীন হন তবে অবশ্যই অবশ্যই আপনার জন্য আপনার সন্তান হবে ‘পরীক্ষা’। এই বইতে চেষ্টা করেছি প্যারেন্টিংয়ের ‘এ টু জেট’ তুলে ধরতে। পশ্চিমা প্যারেন্টিং এবং ইসলামী প্যারেন্টিংয়ের তুলানামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আলোচনা করা হয়েছে ইমাম গাজ্জালী রহ. এর প্যারেন্টিং মডেল। পিতামাতার জীবিত অবস্থায় সন্তানের ৬টি গুণ এবং পিতামাতার অবর্তমানে ১৩টি গুণের ব্যখ্যা ও বিশ্লেষন তুলে ধরা হয়েছে। আপনি সত্যিকার অর্থে কোন ধরণের সন্তান গড়ে তুলতে চান?- সে বিষয়টি ব্যখ্যা করা হয়েছে। আমরা আধুনিক বিশ্বে নানাবিধ ফিতনায় জড়িয়ে পড়েছি। কিন্তু নবী সা. দেয়া প্যারেন্টিংয়ের বিষয়ে আমরা উদাসীন। আসুন জেনে নেই প্যারেন্টিংয়ে ইসলামের আলোকিত পথ। আপনাকে ইসলামী প্যারেন্টিং জগতে স্বাগতম।
Ahmed Faruq নিজেকে সুখী মানুষ ভাবতে ভালোবাসেন। লেখেন ইচ্ছে হলে, ইচ্ছে না হলে কিছুই লেখেন না। স্বপ্ন দেখেন “লাইটহাউজ” নামক এক মিলনকেন্দ্রের। যেখানে কিছু নিঃস্ব মানুষের গল্প লেখা হবে। ছোটবড় মিলে বই লিখেছেন ২৭। ছোটগল্প লিখেছেন সবচেয়ে বেশি। ‘কাক” তার লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পগ্রন্থ। এ ছাড়াও লিখেছেন উপন্যাস, গল্প এবং নাটক। প্রচারবিমুখ নিভৃতচারী এই কথাসাহিত্যকের জন্ম ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে পুরোদমে লেখালেখি আর প্রকাশনার সাথে যুক্ত। বাবা মরহুম সামছুল হক ছিলেন কৃষিবিদ। মা ফাতেমা খাতুন, স্ত্রী জেবা, মেয়ে নাবা এবং পুত্র অবনীলকে নিয়েই তার যাপিত জীবন।