দ্য ফাইভ এএম ক্লাব মূলত একটি কনসেপ্ট, একটি আইডিয়া, যেখানে সকালটাকে কাজে লাগানোর উপর জোর দেয়া হয়েছে। বিখ্যাত লেখক রবিন শর্মা এখানে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদের উৎপাদনশীলতা, সৃজনশীলতা, কর্মক্ষমতা, নেতৃত্বের গুণাবলী এবং সর্বোপরি, আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে ওঠার গুরুত্ব কতখানি! কী, হাসছেন? হাসবারই কথা! তবে আপনার সেই হাসি ম্যাজিকের মতো উবে গিয়ে ‘বিস্ময়ে’ পরিণত হতে বেশি সময় লাগবে না, যদি বইটি একবার পড়েন। মনগড়া কথাবার্তা কিংবা নিজের পছন্দ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার কোনো ব্যাপার এখানে নেই। যা আছে, পুরোটাই বিজ্ঞানসম্মত, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিংবদন্তিতুল্য অসাধারণ পারফর্মারদের জীবন ও কর্ম বিশ্লেষণ করেই রবিন শর্মা তার ফাইভ এএম কনসেপ্টটি দাঁড় করিয়েছেন। এই অসাধারণ প্রতিভাধারিদের প্রায় সবাইকেই আপনি চেনেন। এরা কেউ কবি-লেখক, কেউ শিল্পী, কেউ মহান নেতা, কেউ খেলোয়াড়, কেউবা বিজনেস টাইকুন। হলফ করে বলা যায়, এদের কারো না কারো সাথে আপনি নিজের মিল খুঁজে পাবেনই। আর খুঁজে পেলেই বুঝবেন কীভাবে তারা আপনার মতো সাধারণ একজন মানুষ থেকে নিজেদেরকে কিংবদন্তির কাতারে উন্নীত করেছেন। তবে এই বইয়ের উদ্দেশ্য কিংবদন্তিদের সাথে আপনার মিল খুঁজে বের করা নয়, বরং কিংবদন্তি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে আপনাকে কী কী করতে হবে, সেটা। সুতরাং ব্যক্তিগত জীবনে প্রশান্তি ফিরিয়ে আনার সাথে সাথে নিজেকে যদি সফলতার সর্বোচ্চ শিখরেও দেখতে চান, এই বইটি আপনার জন্য। উপন্যাসের ঢঙে লেখা এটি একটি আপাদমস্তক আত্ম-উন্নয়নমূলক বই, যেখানে গল্প বলতে বলতে রবিন শর্মা আপনাকে শিখিয়ে দেবে ফাইভ এএম মেথড কী এবং জীবনে কীভাবে এটি প্রয়োগ করবেন। বইটি পড়ুন, মেথডটি জানুন এবং নিজের জীবনে একবার প্রয়োগ করেই না হয় দেখুন – দুনিয়ার কোনো শক্তি সফল হওয়া থেকে আপনাকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবেনা।