প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ডক্টর কাজী মোতাহার হোসেন (১৮৯৭-১৯৮১) জীবনসাধনা ও কর্মকৃতিতে অনন্য ও স্মরণার্হ এক যুগপুরুষ। কৃতি-কীর্তির বিবেচনায় 'রেনেসাঁ-পুরুষ' হিসেবেও তিনি অভিহিত হওয়ার যোগ্য। পূর্ববঙ্গীয় সমাজে দীর্ঘ ছয় দশক ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি-শিক্ষা-বিজ্ঞান-ক্রীড়া ও সামাজিক জাগরণের ক্ষেত্রে তিনি যে অনন্য ভূমিকা পালন করে গেছেন তার দৃষ্টান্ত সহজে মেলে না। আজীবন তিনি জ্ঞানের সাধনায় নিয়োজিত ছিলেন, যুক্ত ছিলেন মননসাহিত্যের চর্চায়, মুক্তবুদ্ধির অনুধ্যানে ছিলেন মগ্ন, দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে পালন করেছেন বিবেকী ভূমিকা। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নের শিক্ষক, পূর্ববঙ্গে পরিসংখ্যানবিদ্যা পাঠনের জনক, বিশ্ববিদ্যালয়-পর্যায়ে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানশিক্ষার পথিকৃৎ, বুদ্ধির মুক্তি-আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে বাংলার দৃঢ় সমর্থক, নারীমুক্তির উদার পৃষ্ঠপোষক, প্রগতিপন্থি তরুণ সাহিত্যসেবীদের দিশারি, পাকিস্তান সরকারের রবীন্দ্রবর্জন ও অন্যান্য গণবিরোধী সাংস্কৃতিক নীতির প্রতিবাদী, বাংলা নববর্ষে সরকারি ছুটি-ঘোষণার দাবি উত্থাপক, মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে নানা অনুষ্ঠানে নিয়ে সংহতি ব্যক্তকারী, খেলাধুলার প্রতি আন্তরিক মনোযোগী
আবুল আহসান চৌধুরী জন্ম ১৩ জানুয়ারি ১৯৫৩ কুষ্টিয়ার মজমপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বিএ (অনার্স), এমএ ও পিএইচডি ৩২ বছর ধরে অধ্যাপনা পেশায় যুক্ত। বর্তমানে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। মূলত প্রাবন্ধিক ও গবেষক সমাজমনস্ক ও ঐতিহ্যসন্ধানী। অনুসন্ধিৎসু এই গবেষক সাহিত্য-সংস্কৃতির নানা দুষ্প্রাপ্য ও অজ্ঞাত উপকরণ সংগ্রহ, উদ্ধার ও তা ব্যবহার করে থাকেন। তার লালন সাঁই, কাঙ্গাল হরিনাথ ও মীর মশাররফ হােসেন বিষয়ক গবেষণাকাজ দেশ-বিদেশে সমাদৃত। গবেষণায় বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৯ সালে । প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৭০।