আমি চলমান সময়ের প্রেক্ষাপটে স্থান কাল ও মানুষের সামাজিক জীবনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা অর্জন করে উপলব্ধি করেছি যে বিদেশীরা বিশেষত ইউরোপীয়রা বস্তুবাদী উন্নতিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি লাভ করেছে। অন্যদিকে ৬টি মারাত্মক ব্যাধি আমাদের (অর্থাৎ মুসলমানদের) বস্তুগত উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে মধ্যযুগীয় অচল অবস্থায় ফেলে রেখেছে। আর মুসলিম উম্মাহর জাগতিক অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী সেগুলো হচ্ছে: প্রথমত: আমাদের মাঝে হতাশা সৃষ্টিকারী সকল কার্যকারণের পুনরুত্থান । দ্বিতীয়তঃ আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে সততার মৃত্যু । তৃতীয়তঃ পারস্পরিক শত্রুতা ও বৈরিতার প্রতি আমাদের ভালোবাসা । চতুর্থত: ঈমানদারদের একের সাথে অন্যের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য বিদ্যমান নূরানী সংযোগ সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা । পঞ্চমত: আমাদের মাঝে সংক্রমণ ব্যাধি নেয় ছড়িয়ে পড়া স্বেচ্ছাচারিতা । ষষ্ঠতঃ ব্যক্তিস্বার্থ কে অন্য সবকিছুর উপরে বিবেচনা করা। এই ভয়ঙ্কর ও মারাত্মক ছয়টি রোগের প্রতিষেধকও আমি সামাজিক জীবন নামক মেডিকেল ফ্যাক্টরিতে কোরআন নামক ফার্মেসি থেকে শিক্ষা নিয়ে তা সংক্ষেপে এমন "ছয়টি শব্দের" মাধ্যমে বর্ণনা করেছি প্রতিষেধক হিসেবে যার কোন বিকল্প নেই।
সাইদ নুরসি (১৮৭৬ – ১৯৬০), বদিউজ্জামান নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন সুন্নি মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিক। তিনি রিসালায়ে নূর নামক কুরআনের ব্যাখ্যা রচনা করেন। এটির আকার ছয় হাজার পৃষ্ঠার অধিক। আধুনিক বিজ্ঞান ও যুক্তিকে ভবিষ্যতের পথ বিবেচনা করে তিনি সাধারণ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় জ্ঞান ও ধর্মীয় বিদ্যালয়ে আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষাদানের পক্ষপাতী ছিলেন।নুরসি একটি বিশ্বাসভিত্তিক আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। এই আন্দোলন তুরস্কে ইসলামের পুনর্জাগরণে ভূমিকা রাখে। বর্তমানে সারাবিশ্বে এর ব্যাপক অনুসারী রয়েছে। তার অনুসারীদের প্রায় "নুরজু" বা "নুর জামাত" নামে অবিহিত করা হয় এবং তাকে শ্রদ্ধা করে উস্তাদ ডাকা হয়।অনুরক্ত তুর্কি যুবসমাজ তাকে বদিউজ্জামান বা যুগের বিশ্বয় (Wonder of the age) নামে অভিহিত করে।