মে মাসের প্রথম দিন মে দিবস। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস। ১৮৯০ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রমিক ও শ্রমজীবী জনগণ তাদের প্রধান অনুষ্ঠান হিসেবে দিবসটি পালন করে আসছে। গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল জনগণও শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশের জন্য দিবসটি পালন করে। এতো দীর্ঘ বছর ধরে বিশ্বের আনাচে-কানাচে, শহরে-বন্দরে, শ্রমিক অঞ্চলে, গ্রামে কোনো দিবস পালনের দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল। শ্রমিক আন্দোলন ও সংগঠন বিশ্বব্যাপী বিকশিত হয়ে ওঠার উষালগ্নে আমেরিকার সংগ্রামী শ্রমিকদের বুকের রক্তে রঞ্জিত হয়ে বিশ্ব ইতিহাসে দিবসটি আবির্ভূত হয়। পরবর্তীকালে ইউরোপ ও আমেরিকার শ্রমিক আন্দোলনের বিপ্লবী প্রতিনিধিরা সম্মিলিত হয়ে প্রতিটি দেশে প্রতি বছর দিবসটি পালনের আহ্বান জানালে মে দিবস তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমেরিকার শহীদ শ্রমিক ভাইদের স্মৃতি চিরজাগরুক করে রাখা, মানুষের মতো বেঁচে থাকার দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামের শপথ গ্রহণ করা, সংহতি প্রকাশ ও উৎসব অনুষ্ঠানের দিন হিসেবে শ্রমিক ও শ্রমজীবী জনগণ আজও দিবসটি পালন করছে। সৌহার্দ্য, একাত্মতা ও ভ্রাতৃত্ববোধে দিবসটি তাই চিরউজ্জ্বল। সর্বমানবের মিলনের চেতনায় লালিত এই দিনটি অনন্য। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত জনতার স্বপ্ন তথা শ্রমের অধিকার ও অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামী ঐতিহ্য ও সুমহান বাণী দিবসটি বহন করে চলেছে।