ফ্ল্যাল্পে লিখা কথা মোস্তফা জব্বারের খুব জনপ্রিয় একটি কলামের নাম “একুশ শতক”। প্রতি রোববার প্রকাশিত হয় দৈনিক জনকণ্ঠে। এছাড়াও দৈনিক জুগান্তর ও মুক্তকন্ঠ, মাসিক কম্পিউটার জগত, সাকো, কম্পিউটার বিচিত্রা ও টেকনোলজি টুডেতে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে নিয়মিত লেখেন। আঠরো বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে তার এই লেখালেখি। তার এইসব শত শত লেখালেখি থেকে সর্বসাম্প্রতিক ও সময়োত্তীর্ণ নিবন্ধগুলোকে বাছাই করি সংকলিত হয়েছে এই বইটি। বিশেষ করে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির সমস্যা, সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী এইসব লেখায় খোঁজে পাওয়া যায় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি নামক একটি বিশাল শিল্পখাতকে। এতে ক্ষমতাসীন সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকান্ড, ব্যর্থতা এবং দুর্নীতি ছাড়াও এই খাতের ব্যবসায়ী, ব্যক্তি ও বাণিজ্য সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়েও রয়েছে পর্যালোচনা। এই বইটি আরো একটি কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে সিনেমার ডিজিটাল যাত্রা নিয়ে রয়েছে একটি এমন নিযিদ্ধ যা আর কেউ অন্য কোথাও আলোচনা করেন নি। মোবাইল প্রযুক্তিসহ ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের আগামী দিন নিয়ে এতে পাওয়া যাবে চমৎকার যুক্তিগ্রাহ্য বিশ্লেষণ।
সূচিপত্র একুশ শতকের পিছল পা ও স্বপ্নভঙ আইসিটিতে দুর্নীতি আইসিটি ইনকুবেটর বন্ধ হয়ে যাবে? শুধুই ব্যবসা নয় এক শিশু এক কম্পিউটার ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের প্রথম বসন্ত সৃজনশীল জাতি হতে চাই জ্ঞানভিক্তিক সমাজ কতদূর? তেরো কোটি টাকার ফাঁস স্মার্ট ফোন ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের কেন্দ্র কম্পিউটার কবে শিক্ষা উপকরণ হবে? বারো বছরের বারোটা বেজেছে, আর নয়, সাইফুরের হাত থেকে মুক্তি চাই রেলের ফাইবার অপটিক্স বানরের গলায় মুক্তার মালা বাড়ির পাশের পড়শি আসুন কিছু শিখে নিই কম্পিউটার ও মোবাইল সবই ভালো নয় ইকুইটি ফান্ডের টাকার হরিলুট একজন ফরিদ এবং আমাদের আইসিটি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গেটসের ঢাকা সফর সিনেমার ডিজিটাল যাত্রা
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি জগতের কিংবদন্তীতুল্য ব্যক্তিত্ত্ব। একাত্তরের বীর মুক্তিযােদ্ধা জনাব মােস্তাফা জব্বার তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির জন্য পরিচিত হলেও তার কর্মকাণ্ড কেবল এই জগতেই সীমিত নয় । নিজগ্রামসহ দেশব্যাপী শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে তিনি অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন । তার মাইলফলক কাজের মাঝে রয়েছে কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রয়ােগ, প্রচলন ও বিকাশের যুগান্তকারী বিপ্লব সাধন করা, শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘােষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত মােস্তাফা জব্বারের পৈত্রিক নিবাস নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে ।। ১৯৪৯ সালের ১২ আগষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার চর চারতলা গ্রামের নানার বাড়িতে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা আব্দুল জব্বার তালুকদার পাটের ব্যবসায়ী ও সম্পন্ন কৃষক ছিলেন। তাঁর দাদা আলিমুদ্দিন মুন্সি ছিলেন বিশাল ভূসম্পত্তির মালিক যার উপাধি ছিলাে তালুকদার। তার মা রাবেয়া খাতুন সমগ্র জীবন গৃহিনী হিসেবেই জীবন যাপন করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের কম্পিউটার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ টক শাে-এর মাধ্যমে তিনি কম্পিউটার প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করে চলেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ বিষয়ের ওপর অনেকগুলাে বইয়ের লেখক, কলামিস্ট ও সমাজকর্মী জনাব মােস্তাফা জব্বার এরই মাঝে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখা ও বিজয় বাংলা কীবাের্ড ও সফটওয়্যার আবিষ্কার করার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সেরা সফটওয়্যারের পুরস্কার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সােসাইটি আজীবন সম্মাননা পুরস্কার এবং ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয় আজীবন সম্মাননাসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানা পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন ।। বর্তমানে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলি যােগাযােগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।