ভূমিকা ব্যাংককের এক বিষণ্ন বিকেল।আমাদের আটতলার ফ্লাটে পুরোনো কাগজপত্র গোছাচ্ছি।বাইরে তখন ঝকঝকে রোদ।তাপমাত্রা চড়া নিজেকে নিঃসঙ্গ লাগছে।স্ত্রী লীনা ছোটছেলে অলভ্যকে নিয়ে একামাই সিনে কমপ্লেক্সে-বড় পর্দায় কার্টুন ছবি দেখাতে।বড়ছেলে অনন্ত ওর রুমানিয়ান বন্ধু আইভানের বাসায়। গোছগাছ করতে একটি মাঝারি আকারের কাগজের প্যাকেট পেলাম।তাতে পর্যটন বিষয়ক পুস্তিকা, ফোল্ডার। হোটেল, রেস্টুরেন্টের কার্ড।প্রচারপত্র, নানা ধরনের বিজ্ঞাপন।বিভিন্ন স্থানের ভিউকার্ড, ম্যাপ।জায়গাগুলোয় ইতোমধ্যে আমরা ভ্রমণ করেছি।এসব কাগজপত্রের কোনো-কোনোটি দশবছরের পুরোনো সংগ্রহ।লীনার। কারণ আমি যদি কোনোদিন ভ্রমণকাহিনী লিখি তখন তথ্য জোগাতে এগুলো হয়তো প্রয়োজন হবে।আমার প্রথম ভ্রমণগ্রন্থ ‘দেশ থেকে দুরে’বেরুনোর পর ভেবে রেখেছি ভ্রমণ-বিষয়ক লেখা আর লিখব না।কিন্ত সংগৃতীত কাগজপত্র দেখে আমার খারাপ লাগতে থাকে।দশ বছর ধরে আমার স্ত্রী এগুলো বয়ে বেড়াচ্ছে। এই সময়ে আমরা সংসার সাজিয়েছি পৃথিবীর চারটে দেশে।সুতরাং এই বয়ে বেড়ানোর কাজে শুধু ভালোবাসা নয়, শ্রমও ওর কম যাচ্ছে না।সেই শ্রম ও ভালোবাসার সম্মানে আমি ধীরে ধীরে আমার ট্রাভেলগ লিখতে শুরু করলাম।যার ফলশ্রুতিতে জন্ম নিল ‘যখন প্যারিসে।’ এরই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতের জন্য থাকল ‘এশিয়ার ভ্রমণ গল্প।’ ইকতিয়ার চৌধুরী আর্কেডিয়া সুকুমভিত, ব্যাংকক।
ইকতিয়ার চৌধুরীর জন্ম ডিসেম্বর ১৯৫৪ সিরাজগঞ্জ ।। পিতা নতুন কবিতার অন্যতম কবি মরহুম চৌধুরী ওসমান । মাতা এইচ সুলতানা গৃহিণী। সত্তরের শেষভাগ হতে গদ্য লিখছেন। প্রথম প্রকাশিত গল্প লণ্ঠন’ কবি আহসান হাবীব সম্পাদিত দৈনিক বাংলার সাহিত্য পাতায়। গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনিসহ প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১৮ সংখযােগ্য গ্রন্থ : যমুনা সম্প্রদায়, সােনালী জীবনের ভার, সমতটের স্বর এবং যুদ্ধের পর মুক্তিযােদ্ধা। পেশাগত জীবনে সর্বশেষ স্পেনে রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিবাহিত। স্ত্রী লীনা চৌধুরী গৃহবধূ। তারা দু’পুত্রের জনক-জননী।