জীবনের পথ পরিক্রমা কুসুমাস্তীর্ণ নয়। আছে চড়াই—উত্রাই ও বাধা—বিপত্তি। জীবনের দুর্গম পথে চলতে গিয়ে বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হলে, আমরা সেই অবস্থাকে কীভাবে গ্রহণ করব, তা নির্ভর করে আমাদের মানসিকতার উপর। যারা সব বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা করেন, তারা বাধা বিপত্তিকে সাফল্যের সোপান হিসেবে গ্রহণ করেন। ইতিবাচক মানসিকতাসম্পন্ন মানুষ কখনও আটকে থাকে না। তারা স্থিরভাবে লক্ষ্যপানে এগিয়ে যায়। তারা আত্মবিশ্বাসী, ধৈর্যশীল, নিরহঙ্কার ও দয়াপ্রবণ। তারা নিজেদের সম্পর্কে যেমন ইতিবাচক, তেমনি অন্যদের সম্পর্কেও ইতিবাচক। তদুপরি সব কাজেই তারা ইতিবাচক ফল প্রত্যাশা করেন। পক্ষান্তরে যারা নেতিবাচক চিন্তা করে, তাদের কাছে যেকোনো বাধাই বিরাট প্রতিবন্ধকতা। নেতিবাচক মানুষগুলো নিজের জন্য পথচলা কঠিন করে ফেলে। অন্যদের জন্যও পৃথিবীটা করে বন্ধুর। কিন্তু নেতিবাচক মানুষগুলো নিজেরাই তাদের নেতিবাচকতা সম্পর্কে জানে না। আবার ইতিবাচক মানুষগুলো সঠিক আচরণগত কৌশল ব্যবহার করতে না পারার দরুন কাঙ্ক্ষিত সফলতার কাছে পৌঁছাতে পারে না। বইটি আপনাকে এমনই কিছু আচরণগত দক্ষতার সাথে পরিচয় করে দেবে, যা আপনাকে একজন ভারসাম্যপূর্ণ সুন্দর ব্যবহারের সফল ইতিবাচক সামাজিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। মুফতি তকি উসমানি সাহেব বাংলাদেশে এসে এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিন, জীবন বদলে যাবে। জীবনকে বদলে দিতে হলে তথা জীবনে সুখ, শান্তি ও কাক্সিক্ষত সমৃদ্ধি লাভ করতে হলে, ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। সৌদি আরবের বিশিষ্ট গবেষক ডক্টর আব্দুর রহমান আল আরিফির লেখা জীবনকে উপভোগ করুন (মূল আরবি) গ্রন্থটি এ বিষয়ে অনন্য ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। কেননা গ্রন্থটির মূল উপজীব্য হলো শ্রেষ্ঠ মানব রাসূল এর সিরাত ও উম্মাহর শ্রেষ্ঠ মনীষীদের জীবনাচার।
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় ""দাওয়াত ইল্লাল্লাহ"" বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।