‘অসময়ে’ একটি ত্রিভুজ জীবনের গল্প। প্রেম, অভিমান, পরকীয়া- জীবনের ছুটে চলা ঘড়ির মতোই নানা ঘটনার সমাহার এই উপন্যাসে। উপন্যাসের ভাঁজে ভাঁজে বিভিন্ন ঘটনার ঝাঁক রয়েছে। সম্মোহন করবে প্রতিটি পাঠককে। গল্পটা নাহিদ, বৃষ্টি ও পাপিয়াকে ঘিরে। পাপিয়াকে যে কারণে নাহিদ ভুলতে পারেনি, ঠিক তার উল্টো কারণে ভুলতে পারেনি বৃষ্টিকে... লজিং মাস্টার হিসেবেই নাহিদের সাথে পরিচয় বৃষ্টির। স্যারের আন্তরিকতা ও সততায় মুগ্ধ হয়ে বৃষ্টি প্রেমে পড়ে নাহিদের। কিন্তু নাহিদ সৎ চরিত্রবান বলে এড়িয়ে চলে বৃষ্টিকে। বৃষ্টির অতিরিক্ত আদর যত্নে একসময় নাহিদ বুঝতে পারে, বৃষ্টি তাকে ভালোবাসে প্রেমিকের মতো। কিন্তু নাহিদ তা মেনে নিতে পারে না। একসময় বৃষ্টির পরিবারও নাহিদকে প্রস্তাব দেয় মেয়ের জামাই হিসেবে বরণ করার। নাহিদ মনে মনে বৃষ্টিকে পছন্দ করলেও কখনো বলেনি। নাহিদ তার পরিবারের সাথে কথা বলে সম্মতি না পেয়ে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। নাহিদ নিজেকে লুকানোর জন্যই খুলনা থেকে পাড়ি জমায় ঢাকায়। বাবা মার ইচ্ছেয় বিয়েও করে। পাঁচ বছরের সংসারেই নাহিদ অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। এ্যাক্সিডেন্টে অন্ধ হয়ে নাহিদ তার স্ত্রীর করুণার পাত্র হয়ে যায়। স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে ডির্ভোস দিয়ে দেয় নাহিদকে। নাহিদ উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে ঘুরতে একসময় ফিরে আসে খুলনায়। এ্যাক্সিডেন্টের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বৃষ্টির সন্ধান পেয়ে যায়। এভাবেই গল্পের বাঁকে বাঁকে অসংখ্য ঘটনা নিয়েই ‘অসময়ে’ উপন্যাস।
লেখক পরিচিতি নাম - দীন মুহাম্মদ পিতা - কাজী আবুল হাসেম মাতা - খুকু রাণী চৌধুরী জন্ম - ০৪ জুন, ১৯৬৭ খ্রি. উপজেলা - কোটালীপাড়া, জেলা - গোপালগঞ্জ। পেশা - সরকারি কর্মকর্তা। ছাত্রজীবন থেকে লেখালেখি শুরু প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা - ৭ টি (৪ টি উপন্যাস, ৩ টি কাব্যগ্রন্থ)। ‘কফিনে বন্দি মানবতা’ লেখকের অষ্টম কাব্যগ্রন্থ।