* সম্পত্তি বণ্টন বিদ্যা কঠিন বলে ভাবছেন? * নিজের সম্পত্তি নিজেই ভাগ-বণ্টন করতে ইচ্ছুক? * সর্বশেষ, সর্বাধুনিক গবেষণা ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? * কষ্ট-ক্লেশ ব্যতীত চার্ট দেখে কে মারা গেলে, কে কত অংশ পাবে, কে কে বঞ্চিত হবে এক নজরেই বলে দিতে চান? * সম্পত্তি সংক্রান্ত খুঁটিনাটি জানতে এবং সংশয় দূর করতে চান?br শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অসুবিধের প্রতি বিবেচনা করে প্রয়োজন অনুভূত হল, এমন একখানা পুস্তক প্রণয়ন করা উচিত, যাতে অনুশীলনীর আধিক্যের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তব সমস্যারও যেন সমাধান হয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীগণ যেন দ্বন্দ্বের সম্মুখীন না হয়েই চার্ট দেখে, প্রত্যেক ওয়ারিসের অংশ বের করতে পারেন। কোন্ ওয়ারিসের বর্তমানে, অন্য কোন্ ওয়ারিস বঞ্চিত হবে, তা-ও যেন বলে দিতে পারেন। br এই পুস্তকখানায় ‘যুবিল ফুরুয', (প্রথমসারীর নির্ধারিত অংশপ্রাপ্ত ওয়ারিসগণ), ‘আসাবা (২য় শ্রেণীর অনির্ধারিত বা সাকুল্য বকেয়া অংশের হক্বদার ওয়ারিসগণ) ও ‘যুবিল আরহাম (৩য় শ্রেণীর আত্মীয়গণ) সংক্রান্ত ১২৫টি প্রশ্নের/সমস্যার সমাধান দেওয়া হয়েছে। এগুলো অনুশীলন ও হৃদয়ঙ্গম করার পর এমনিতেই ছাত্র-শিক্ষার্থীদের এতদসংক্রান্ত যে কোন সমস্যার সমাধান দেওয়ার যোগ্যতা অর্জিত হয়ে যাবে। অধম নিজে (লেখক) অনেক অজানা ব্যক্তিকে এই পুস্তকে সংকলিত পদ্ধতিতে অনুশীলন করিয়ে দেখেছি; তাঁদের যথেষ্ট উপকার হয়েছে। তাঁরা এই পদ্ধতিকে সবচেয়ে বেশী সহজ ও সহায়ক বলেছেন। এ বাস্তব অভিজ্ঞতার পর সাথী-বন্ধুদের অনেকে এটিকে বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তাই এই পুস্তকখানাকে ‘সহজ সম্পত্তি বণ্টবিদ্যা’ নাম দিয়ে সম্পত্তি ও সম্পত্তি সম্পর্কিত ব্যক্তিবর্গের উপকারার্থে ছাপিয়ে প্রকাশ করা হচ্ছে। পাঠক ও উপকৃত ভাইদের খিদমতে, পুস্তকখানি আল্লাহপাকের কাছে কবূল হওয়ার এবং মুক্তির কারণ হওয়ার জন্য, দোয়ার আবেদন রইল।brbr সুলেখক এজেড এম শামসুল আলম-এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো জটিল এবং কঠিন বিষয় সহজ সরলভাবে উপস্থাপন করা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা চাকরিতে কর্মকর্তাদের থেকে বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি ব্যাংকিং সেক্টরে অপেক্ষাকৃত বেশি।br সরকারি, বেসকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর একটি বড় সমস্যা এমনকি সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো--খেলাপি ঋণ এবং বিনিয়োগ। জমি-জমা, বাড়ি-ঘর, ইত্যাদি, জামানত বা বন্ধক নিয়ে ব্যাংক ঋণদান করে। ইসলামি ব্যাংক অর্থ বিনিয়োগ করে। কিন্তু, ব্যাংক প্রদত্ত জমি-জমার দলিল এবং রেকর্ড থাকে ত্রুটিপূর্ণ। জমি-জমা ক্রয়-বিক্রয় সমস্যা একটি গভীরতর জাতীয় সমস্যা বিবেচনা করে বর্তমান পুস্তকটি সাধারণ পাঠকদের বিশেষ করে জমি ক্রেতা-বিক্রেতা এবং ব্যাংক কর্মকর্তার উপযোগী করে লেখার মনোযোগ দেন লেখক। মনে হয় এ বিষয়ে যথেষ্ট সফল হয়েছেন। এই পুস্তকটি একটি বৈশিষ্ট্য হলো প্রশ্নোত্তর পদ্ধতিতে লেখা। আইন, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয় জটিল বিধায় পড়ার উৎসাহ পাঠকদের তেমন থাকে না। কিন্তু, প্রশ্নোত্তর পদ্ধতিতে প্রশ্নগুলো হয় ছোট ছোট।br উত্তরগুলোও হয় ছোট ছোট এবং বুঝার জন্য সুবিধাজনক। পড়া শুরু করলে বুঝতে না পারার কারণে বিরক্ত হয়ে পুস্তকটি পাঠ বন্ধ করে দেয়ার প্রবণতা পাঠকের হয় না। যে কোন জটিল বিষয় জানার জন্যে এ পদ্ধতিটি সহায়ক এবং সহজতর। সাধারণভাবে জনাব শামসুল আলম-এর অন্যান্য পুস্তক-পুস্তিকার ন্যায় এ বইটি পাঠকদের নিকট সমাদৃত হবে। এ জাতীয় পুস্তক যত বেশি প্রকাশিত হয় ততই ভুক্তভোগীদের জন্যে কল্যাণকর।
Title
জমির ক্রয়-বিক্রয় ও বন্টনবিদ্যা সম্বলিত ২টি বইয়ের কালেকশন