‘ভোরের হাওয়া’ গ্রন্থে মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত ১০০টি কবিতা আছে। গ্রন্থের শুরুতে কবি মাত্রাবৃত্ত ছন্দের ওপর একটি দীর্ঘ ভূমিকা-প্রবন্ধ লিখেছেন যা পাঠকের জন্য বাড়তি পাওয়া। একই ছন্দে, বিশেষ করে মাত্রাবৃত্ত ছন্দে, এতো অধিক কবিতা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ বাংলা সাহিত্যে বিরল। এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত কবিতাগুলো এবং ভূমিকা-প্রবন্ধ পাঠের মধ্য দিয়ে কাব্যানুরাগী পাঠকেরা একদিকে যেমন মাত্রাবৃত্ত ছন্দের এক জাদুময় জগতে প্রবেশ করতে পারবেন অন্যদিকে চাইলে এই ছন্দটি ভালো করে শিখেও নিতে পারবেন। সৃজনশীল এবং মননশীল চিন্তার এক যৌথ উপহার এই বই। কবি কাজী জহিরুল ইসলাম ছন্দ বিষয়ে একজন সুপণ্ডিত, তিনি শুধু ছন্দের শিক্ষকই নন শুদ্ধ ছন্দে অনবরত রচনা করে চলেছেন একের পর এক সার্থক কবিতা। এর আগে জলধি প্রকাশ করেছে স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত তার শত কবিতার বই “শেষ বিকেলের গান”। শেষ বিকেলের গান-এর মূল থিম ছিল মৃত্যু, এবারের গ্রন্থে বিষয়ের বৈচিত্র থাকলেও মূল সুরটি হচ্ছে তারুণ্য, বিকশিত হবার কাল, তাই গ্রন্থের নামকরণ করেছেন কবি “ভোরের হাওয়া”। ভোরের হাওয়া পড়তে পড়তে পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে ভোরের রোদ ভেঙে উঠে আসা এক পশলা স্নিগ্ধ হাওয়া।
কাজী জহিরুল ইসলাম। লিখেন গল্প, কবিতা, ভ্রমণকাহিনি ও প্রবন্ধ। পেশাগত প্রয়ােজনে ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভ্রমণ করেছেন পৃথিবীর বহু দেশ। দীর্ঘ দিন খণ্ডকালীন সাংবাদিকতা করেছেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযােগ্য গ্রন্থসমূহ : উড়ালগদ্য (কলাম), বিহঙ্গপ্রবণ (আত্মজৈবনিক উপন্যাস), জানা-অজানা আফ্রিকা (ভ্রমণ), গজমােতির দেশ আইভরিকোস্ট (ভ্রমণ) After a Long way (কাব্যগ্রন্থ), ছয় ঠ্যাংঅলা নীল সাপ (গল্প) ইত্যাদি। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ কবি জসীমউদ্দীন পুরস্কার ১৪০৬ এবং ভ্রমণ সাহিত্যে ড. দীনেশ চন্দ্র সেন পদক ২০০৮-এ ভূষিত হয়েছেন। বর্তমানে জাতিসংঘের একজন আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা হিসেবে আমেরিকায় কর্মরত। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। স্ত্রী মুক্তি, পুত্র অগ্নি এবং কন্যা জলকে নিয়ে লেখক বসবাস করছেন কাব্যময় সংসারে।