ফ্ল্যাপে লিখা কথা মেজর জেনারেল ইবরাহিম কর্তৃক লিখিত বই প্রকাশ শুরু হয়েছে ১৯৯৯ সাল থেকে , এবং প্রায় প্রতি বইমেলাতেই তাঁর লেখা বই প্রকাশিত হয়েছে। এটি তাঁর নিজের লেখা বা সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে এগারোতম। এই বইটি অন্য সকল বই থেকে ভিন্ন বলে অনুভূত । বিবিসি বাংলা রেডিও, ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশের একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে বহুমাত্রিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বা উপস্থাপনার কারণে, মেজর জেনারেল ইবরাহিম দেশে এবং বিদেশে বাংলা ভাষী দর্শক স্রোতার নিকট অতি সুপরিচিত একটি মুখ ও নাম। এই গ্রন্থটি মেজর জেনারেল ইবরাহিমকে ও তাঁর চিন্তা-চেতনাকে গভীরভাবে জানার একটি মাধ্যম। সেনাবাহিনী জীবন প্রসঙ্গে কিছু আলোচনা পাঠকের জন্য অভূতপূর্ব ও অশ্রুতপূর্ব বলেই অনুভব করি। আংশিকভাবে আত্মজীবনীমূলক, আংশিকভাবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর মূল্যায়নমূলক এবং আংশিকভাবে তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনার প্রকাশমূলক গ্রন্থ হচ্ছে এটি- ‘মিশ্রকথন’। অনেক প্রকারের কথা আছে বলেই এর নাম ‘মিশ্রকথন’। কঠোর বা সিরিয়াস সব কথাকেই গ্রহণযোগ্য ভাষায় এবং পাঠযোগ্য মেজাজে উপস্থাপন করার দক্ষতা মেজর জেনারেল ইবরাহিম এর আছে; আগের বইগুলো এর সাক্ষী। ‘মিশ্রকথন’ যেমন তথ্যমূলক তেমনই চিন্তা-উদ্রেককারী; সব বয়সের সব পেশার পাঠকের জন্য কিছু না কিছু এখানে আছেই। বাংলাদেশকে নিয়ে যারা ভাবেন, পুরো বইটি তাদেরই।
সূচিপত্র * ভূমিকা : মিশ্রকথান কেন ? * শৈশব ও পরিবার : বৃত্ত থেকে উত্তরণ * জীবনের ভিত্তি ক্যাডেট কলেজ : অতঃপর বিশ্ববিদ্যালয় * সেনাবাহিনীতে ব্যস্ত দিনগুলো * স্মৃতি : টক-ঝাল-মিষ্টি * ১৯৭৫ : রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভাজন রেখা * মুক্তিযুদ্ধ : পিছনে ফিরে দেখা * পার্বত্য চট্রগ্রাম : অনেক প্রশ্নের কিছু উত্তর * এরশাদের আগমন ও বিদায় : অনেক বড় চোখে দেখা * ২০ মে ১৯৯৬ : অসি বড় না মসি বড় * রাজনৈতিক মত ছিল; কিন্তু পথ! * রাজনীতির পথে হাঁটবো কি হাঁটবো না * রাজনীতিতে আমার পথ : নতুন দল
মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (জন্ম: ৪ অক্টোবর, ১৯৪৯) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। তিনি বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার উত্তর বুড়িশ্চর গ্রামে। তার বাবার নাম এস এম হাফেজ আহমেদ এবং মায়ের নাম মা শামসুন নাহার। ১৯৭১ সালে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম কর্মরত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। ২৫ মার্চের পর কে এম সফিউল্লাহর নির্দেশে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৯৬ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। তিনি একই সঙ্গে একজন লেখক এবং বক্তা। ঢাকার বিভিন্ন সংবাদপত্রে নিয়মিত কলাম লেখেন।