অ্যাসাসিনেশন। এটি এক ধরনের যুদ্ধ বিজ্ঞান। কম খরচে বেশি ইমপ্যাক্ট ফেলার এই যুদ্ধ শৈলী সভ্য সমাজে নিন্দনীয় হলেও এই ধরনের যুদ্ধ শৈলীর প্রমাণ রামায়ন মহাভারতেও পাওয়া গেছে। রামচন্দ্রের বালি হত্যা, লক্ষনের নিকুম্ভিলা যজ্ঞ গৃহে মেঘনাদ বধ, কিংবা কৃপাচার্য আর কৃতবর্মার সাথে আশ্বত্থমার পান্ডব শিবিরে রাতের অন্ধকারে প্রবেশ করে দ্রৌপদীর পাঁচ পুত্রকে হত্যার গল্প আমাদের দেশের মহাকাব্যেই আছে। অ্যাসাসিনেশন শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে অবশ্য নানা মুনি নানা মত দিয়ে আমাদের তর্কের টেবিলে সাইক্লোন তোলার রসদ জুগিয়ে রেখেছেন। অ্যাসাসিন ইংরেজি শব্দ কিন্তু তারসাথে খুব একটা গর্ব বা বীরত্ব নেই, এই শব্দের উৎপত্তি খুঁজে পাওয়া গেছে প্রাচ্য-মধ্য প্রাচ্যে। পারস্য, সিরিয়া,তুর্কি এই সব দেশে। অ্যাসাসিন বলতে সবসময় এমন নয় যে, আলোআঁধারি পরিস্থিতিতে কালো ড্রেস পরা, চুপিচুপি এগিয়ে আসা এক গুপ্ত ঘাতক, তবে অনেক সময়ই অ্যাসাসিনরা অন্ধকারে আসে না। প্রকাশ্য দিবালোকে নিমেষে অপারেশন কমপ্লিট করে চলে যায়। তার উদ্দেশ্য রাজনীতি, অর্থনিতি, ধর্ম বা অন্য যা কিছু হতে পারে। এই নিয়ম বহির্ভুত যুদ্ধের ১৩টি দুনিয়া কাঁপানো ঘটনা নিয়ে Bivas Roy Choudhury র এই বই, সৌপ্তিকপর্ব, গুপ্ত হত্যার তেরোকাহন। হামলা কোথা থেকে আসবে, কে বা কারা করবে তা জানা থাকে না। তবে হামলা হবে এমন ধরে নিয়ে দরকার সিকিউরিটির শক্ত বেড়া জাল। এই বই সন্ধান দেবে কিভাবে এই তেরোটি হামলা, যা সিকিউরিটির ঘেরা টোপ উৎরে গেছে এবং কে বা কারা সেই: হামলা: করেছে।