মধুসূদনের নারী নির্মাণ ও সহজপাঠ (হার্ডকভার)

ক্যাপটিভ লেডির নায়িকা, শর্মিষ্ঠা, রিজিয়া, তিলোত্তমা, পদ্মাবতী, ব্রজাঙ্গনা, 'মেঘনাদবধ' কাব্যের প্রমীলা, সীতা, সরমা ব্রজাঙ্গনার রাধা, কৃষ্ণকুমারী ও বীরাঙ্গনার এগারজন নারী কী স্বপ্রতিষ্ঠ, স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম ছিলেন? খুব সংক্ষেপে মধুসুদনের নিজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেই তার বিচার।
এদিকে ইংরেজি পাঠ পরিকল্পনায় যেমন বিভিন্ন স্তর রয়েছে তেমনই সহজপাঠের প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগেও রবীন্দ্রনাথ তাঁর অনবদ্য ভাষায় শিশুর মনকে পাঠ্য বইয়ের প্রতি মনোযোগী করতে চেষ্টা করেছেন। গল্প, কবিতা, ছড়া ও শব্দের ব্যবহারে এই দুটি বই শিশুপাঠ্য রচনা হলেও বয়স্ক পাঠককেও তা আনন্দ দেয়।
ভারতনারী, ভারতললনা, কুলকামিনী, কুমারী, সধবা, বিধবা শব্দগুলো সমগ্র নারীসমাজকে নির্দেশ করে। তাঁরা কোন বিশেষ ধর্মসম্প্রদায়ভুক্ত নন। রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও রবীন্দ্রনাথের মানবতাবাদ তাঁর চিন্তা ও মননে সামগ্রিক মানবকল্যাণের চৈতন্য জাগিয়ে তুলেছিল । যে ধর্মপরিমণ্ডলে তিনি জন্মেছিলেন তা তার চৈতন্যকে সীমাবদ্ধ করতে পারেনি।
নারীর সমগ্র জীবন জুড়ে নানাভাবে, নানা বয়সে, ভিন্ন ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে তার যে অবমানিত, অবস্থান ও নিগ্রহ তার কোন দেশ কাল নেই। কেন তারা উনমানবী তা বলা হয়েছে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন ও ফেরদৌস আরা আলীম তিনজনেই নারী বিষয়ে ভেবেছেন। তাঁদের রচনার চিন্তার মাত্রা ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু সত্যের আলোকে তা দেদীপ্যমান।
এসকল ভাবনায় শিপ্রা রক্ষিত দস্তিদার নিজের পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করেছেন।
..
শিপ্রা রক্ষিত দস্তিদার :
জন্ম ৯ নভেম্বর, ১৯৪৭ সাল, চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে।
শিক্ষা
দয়াময়ী ফ্রি প্রাইমারি স্কুল, নোয়াপাড়া, চট্টগ্রাম, অপর্ণাচরণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
পেশা
শিক্ষকতা, ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে যোগদান করেন। বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত (২০১৩)। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি পত্রিকা, বাংলা একাডেমি পত্রিকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের গবেষণা পত্রিকা পাণ্ডুলিপিতে বিভিন্ন সময়ে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকীতে তাঁর সৃজনশীল সাহিত্য সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত গ্রন্থ
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সাহিত্যকর্ম (১৯৯২, ঢাকা, বাংলা একাডেমী)। উনিশ শতকের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের এক দশক (২০০১, ঢাকা, বাংলা একাডেমি)। ইতিহাস ও সংস্কৃতি (২০০২, কলকাতা, নয়া উদ্যোগ)। বৌদ্ধ সংস্কৃতিক ও অন্যান্য (২০০৮, ঢাকা, নবযুগ)। চার হাত কাঁটাতার (২০১৫, ঢাকা, নবযুগ)। অস্থির তরী (২০১৯, চট্টগ্রাম, খড়িমাটি)।