‘শ্রেষ্ঠ ছড়ার বই’ আমার একটি যুগোপযোগী ছড়াগ্রন্থ। বইটিতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত আমার ১৫০টিরও অধিক স্বরচিত শ্রেষ্ঠ ছড়া লিপিবদ্ধ হয়েছে বিধায় এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া বইটির পাতায় পাতায় প্রায় প্রতিটি ছড়ার সাথে যোগ করা হয়েছে অভিনব ৪ লাইনের মধুছন্দ শিরোনামে স্বরচিত আরও শতাধিক ছোট্ট ছড়া। যা পাঠককে অতিরিক্ত আনন্দ দেবে এবং ১৬০ পৃষ্ঠার ছড়াগ্রন্থটি একবারে পড়ে শেষ করার স্পৃহা যোগাবে। উল্লেখ্য যে, কিছু কিছু মধুছন্দ ইতোপূর্বে বাণীছন্দ শিরোনামেও প্রকাশিত হয়েছে। মা-মাটি-মাতৃভাষা, শিশু, প্রকৃতির ফুল, ফল, পাখি, নদী, ঝর্ণা ইত্যাদি লেখার প্রধান উৎস। এটি সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত একটি ছন্দবদ্ধ বিজ্ঞানসম্মত ছড়াগ্রন্থ। প্রতিটি লেখায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থদ্যোতনা, অন্ত্যমিল এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। লেখার স্বাত্রৈন্ত্রতা, নিরপেক্ষতা এবং ছন্দবদ্ধতা সহজেই শিক্ষিত সমাজের যে কোনো বয়সের যে কাউকে আকৃষ্ট করবে। বইটিতে নির্ভুল বানান রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও ই-মেইলে, ফেইসবুকের ইনবক্সে অথবা ফোনে পাঠকের সুচিন্তিত মতামত পেলে আগামীতে তা শুধরে নেবার অবকাশ থাকবে। আশা করি সব বয়সের উপযোগী সর্বকালের এ ছড়াগ্রন্থটি পাঠকের মনে ছন্দের নতুন মাত্রা যোগ করবে। মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ ছড়াকার নিউ ইয়র্ক, ইউএসএ
এক সময়ের দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার প্রথম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘হইচই’ হবিগঞ্জ জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ‘হবিগঞ্জ জেলা প্লান্ট নার্সারী মালিক কল্যাণ সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ‘উদীচী’ হবিগঞ্জ জেলা শাখার প্রাক্তন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ‘ছড়া সংসদ’, হবিগঞ্জ’র প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক, হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক খোয়াই’র প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক, সিলেট থেকে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা ‘মাসিক বাসিয়া’র নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি ও লেখক, যিনি বাংলা সাহিত্যে আজীজ আহমেদ এবং আব্দুল আজিজ এ দুনামেই সমান পরিচিত। তার আসল নাম মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ। হবিগঞ্জ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র রামকৃষ্ণ মিশন রোড, গানিং পার্ক আ/এ’র এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ২৮ জানুয়ারি ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে স্বনামধন্য এ লেখকের জন্ম। তার পিতার নাম মরহুম মোহাম্মদ আবুল হাশেম এবং মাতার নাম মোছাম্মৎ ছুরত বানু ওরফে রেণু। নানার বাড়ি হবিগঞ্জ পৌর এলাকার মোহনপুর চেয়ারম্যান বাড়ি ও দাদার বাড়ি হবিগঞ্জ শহরতলীর জালালাবাদ গ্রামে। তিনি স্থানীয় বৃন্দাবন সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেন। পরে সিলেট ’ল-তে কিছুদিন এলএলবি অধ্যায়ন করেন। ২০০৭ সালে ডাইভার্সিটি ভিসা লটারি বিজয়ী হয়ে তিনি আমেরিকার নিউ ইয়র্কে পাড়ি জমান। সাহিত্যাঙ্গনে দেশের আজীজ আহমেদ সেখানে গিয়ে আব্দুল আজিজ নামে আত্মপ্রকাশ করেন। স্কুল জীবন থেকেই তার লেখালেখির হাতেখড়ি। এ পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকাসহ মাসিক শিশু, মাসিক টইটম্বুর, মাসিক ফুলকুঁড়ি ইত্যাদিতে তার অসংখ্য লেখা প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ বেতার সিলেট ও বাংলাদেশ টেলিভিশন, ঢাকার তালিকাভুক্ত গীতিকার। পেশায় তিনি একজন গ্লোবাল সার্টিফাইড মাইক্রোসফ্ট অফিস ইন্সট্রাক্টর ও কম্পিউটার রিপেয়ারম্যান। আজিজ মাল্টি-সার্ভিসেস নামে নিউ ইয়র্কে তার একটি মোবাইল ব্যবসা রয়েছে। দেশে তার নিজ এলাকার অধুনালুপ্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মৌসুমী প্লান্ট নার্সারী’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসাবেও তার বেশ খ্যাতি আছে। ইতিপূর্বে প্রকাশিত তার ‘ছড়ার ঘড়া উপুড় করা’ ছড়াগ্রন্থটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে। ‘শ্রেষ্ঠ ছড়ার বই’ শিরোনামের এ গ্রন্থটি তার তৃতীয় ছড়াগ্রন্থ। তার অন্য আরও দুটি প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ‘আমার মায়ের হাসি’ (ছড়াগ্রন্থ) ও ‘সুরের তরী’ (গীতি কাব্যগ্রন্থ)-র নাম উল্লেখযোগ্য। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তিন ছেলে যথাক্রমে কৌশিক আহমেদ, কনক আহমেদ ও রনক আহমেদ এবং স্ত্রী সুলতানা আজিজকে নিয়ে তিনি আমেরিকার নিউ ইয়র্কে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সাত ভাইয়ের তৃতীয় তরুণ এ লেখক সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেন।