পর্দা ইসলামের ফরজ বিধান। নামাজ-রোজা-হজ-জাকাতের মতোই পর্দার গুরুত্ব অপরিসীম। পর্দা রক্ষা করে চলা ঈমান রক্ষা করে চলার শামিল। কারণ, আল্লাহ তায়ালা ঈমানদার নারীদেরই পর্দা রক্ষা করে চলার নির্দেশ প্রদান করেছেন। পর্দার মাসআলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল, নারীর চেহারা। নামাজ অবস্থায় এবং ইহরাম অবস্থায় নারীর চেহারা পর্দার অন্তর্ভুক্ত নয়। মাহরামদের সামনেও নারীর চেহারা পর্দার অন্তর্ভুক্ত নয়। কিন্তু গায়রে মাহরামদের সামনে নারীর চেহারা পর্দার অন্তর্ভুক্ত। এটিই স্বতঃসিদ্ধ মাসআলা । কিন্তু আধুনিক আলেমদের কেউ কেউ মনে করেন, নারীর চেহারা পর্দার অন্তর্ভুক্ত নয়। কেউ চাইলে খোলা রাখতে পারে, তবে ঢেকে রাখাই উত্তম। বিশেষ করে তাদের অনেকেই চেহারা খোলা রাখার জন্য শর্ত আরোপ করেছেন যে, চেহারা সুন্দর হওয়া যাবে না, চেহারায় সাজসজ্জা করা যাবে না। ফেতনার আশঙ্কা থাকলে চেহারা ঢেকেই রাখতে হবে। কিন্তু তাদের এ ফতোয়ার অপব্যবহার করে (শর্ত-শারায়েত সব গায়েব করে দিয়ে) এক শ্রেণির মানুষ চেহারা খোলা রাখাকেই মূল বিধান ও প্রকৃত ইসলাম বানিয়ে দিয়েছেন। এই গ্রন্থ সেইসব ভুল চিন্তা ও অসম্পূর্ণ ফতোয়ার বিপরীতে কুরআন ও হাদিস থেকে এক এক করে উন্মোচন করে দেখিয়েছে নারীর চেহারার কতটা বাধ্যতামূলক পর্দাভুক্ত। আমাদের সমাজের রক্ষণশীল মুসলিম নারীরা সবসময়ই একটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগেন এরকম, যেটুক পর্দা করছেন তা বেশি হয়ে গেল কি না! কিংবা আবার একটু শিথিলতা করলে ভাবেন, পর্দা কম হয়ে গেল কি না! এই গ্রন্থ এইসব সংকটকে খুব সহজেই কুরআন ও হাদিসের টেক্সটে সমাধান করে স্পষ্ট দেখাবে নারীর চেহারায় পর্দার ইসলামি বিধান কোনসময় কতটুকু প্রয়োজন। কলেবরে ছোট হলেও প্রয়োজন, তথ্য ও রেফারেন্সের গুণে খুবই জরুরি এই গ্রন্থ। বিশেষ করে আমাদের নারীসমাজের বিশাল সংখ্যক মানুষ ও পর্দাবিষয়ক জানাশোনার জন্য এই বই চমৎকার একটি সংযোজন।