১. লাভিং ওয়াইফ ২. লাভিং হাজব্যান্ড ঢাকায় গড়ে প্রতিদিন ৩৭টি সংসার ভেঙে যাচ্ছে । দুই সিটি কর্পোরেশন এবং জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে মোট ১৩,২৮৮টি তালাকের আবেদন এসেছে। ফলে প্রতি ৪০ মিনিটে ১টি করে বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে। [সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন, ১৩ জুন ২০২৩] এছাড়াও প্রতিনিয়ত হাজব্যান্ড- ওয়াইফের মাঝে দাম্পত্য জীবনের কলহ বেড়েই চলেছে, দাম্পত্য জীবনকে সুখময় করে গড়ে তুলতে ''লাভিং হাজব্যান্ড ও লাভিং ওয়াইফ'' বই দুটি প্রত্যেক ঘরে ঘরে থাকা উচিত। “লাভিং হাজব্যান্ড তথা সুখময় পরিবার গঠনে স্বামীর ভূমিকা” বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে দাম্পত্যজীবনের বিভিন্ন দিক। রাসূল সা. ছিলেন একজন আদর্শবান স্বামী। স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সাথে কাটানো তার প্রতিটি মুহূর্ত হলো শিক্ষার উপকরণ। তাদের প্রতি তার দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা প্রতিটি স্বামীর জন্য আদর্শ। বর্তমান প্রেক্ষাপটের সাথে তুলনা করে রাসূল সা.—এর সেই আদর্শময় দাম্পত্যজীবনই তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। “লাভিং ওয়াইফ তথা সুখময় পরিবার গঠনে স্ত্রীর ভূমিকা” বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে দাম্পত্যজীবনের বিভিন্ন দিক। কুরআন, হাদিস ও আছারে উল্লেখিত রমনীগণ হলেন আদর্শবান স্ত্রী। স্বামী, সন্তান ও পরিবারের সাথে কাটানো তাদের প্রতিটি মুহূর্ত শিক্ষার উপকরণ। স্বামী ও সংসারের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা প্রতিটি স্ত্রীর জন্য আদর্শ। বর্তমান প্রেক্ষাপটের সাথে তুলনা করে তাদের সেই আদর্শময় দাম্পত্যজীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
শাহাদাত হুসাইন। একজন তরুন উদিয়মান লেখক। ১৯৯৪ সালের ৭ই ডিসেম্বর লক্ষীপুর জেলার বশিকপুর গ্রামে তার জন্ম। দু বোন আর দু ভাইয়ের মধ্যে সে তৃতীয়। প্রাথমিক পড়া শুরু করে দত্তপাড়া কিন্টার গার্ডেন কেজি স্কুলে। আর কৃতিত্বের সাথে মাস্টার্স সম্মন্ন করে ২০১৮ সালে। বাংলাদেশের সুপ্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ থেকে। বইয়ের প্রতি ছোট সময় থেকে তার ভালোবাসা। বড় বোন ছিলো বইয়ের পোকা। কাজকর্ম বাদ দিয়ে সারাদিন উপন্যাস নিয়ে পড়ে থাকতো। ফাঁকে ফাঁকে ছোটদের দু একটা বই কিনে দিতো তাকে। কিনে দিয়েই তার কাজ শেষ হতো না, স্কুলের পরীক্ষার মত চলাতো তার উপর পরীক্ষা। বল, কী বুঝলি এ বই থেকে? কোন চরিত্র তোর কাছে ভালো লেগেছে? কোন জায়গাটা ভালো লাগলো? তাই অল্প বয়সেই তার পড়া হয়ে গেছে, নামি, বেনামি অনেক লেখকেরই বই। বই পড়ার অভ্যেস ছোট সময় হলেও লেখার অভ্যেসটা হয় অনেক পরে। তার প্রধান সখ হলো ডায়রি লেখা। এমন কোন বিষয় নেই যা সে ডায়রিতে লেখে না। প্রতিদিন সে লেখে। তার সহপাঠিরা যখন ফেসবুকে পোস্ট দিতে ব্যস্ত তখন সে ডায়রির পাতায় মনের মাধুরি মিশিয়ে মনের কথা লিখে রাখতে ব্যস্ত। কেউ তার লেখা পড়লে তার লজ্জা করতো। ভীষন ভাবে লজ্জিত হতো। কারণ একটা শব্দ লিখলে তার ভুল হতো দুটো। তারপরও লিখে যেতো। দীর্ঘ একটা সময় পর নিজের মনের ভেতর সে একটা রাজ্য গড়ে তুলেছে। যে রাজ্যটা কেবলই তার। সেখানে কেউ তার ভুল ধরে না। কেউ তার লেখা নিয়ে হাসে না। সেখানে কখনো সে প্রেমীক হয়, কখনো বাউন্ডুলে হয় কখনো সংগ্রামী হয়। নিজের মনের কথাগুলো ডাইরির পাতায় লিখতে থাকে সাবলীল ভাবে। বর্তমানে আট থেকে নয়টি ডায়রির মালিক। যে ডায়রিগুলোকে সে বন্ধু বলে ডাকে। তিন বছর আগেও একান্ত ঘনিষ্ট বন্ধু ছাড়া কেউ তার লেখা পড়েনি। তাই নিজেই ছিলো লেখক। আবার নিজেই সমালোচক। সর্বপ্রথম ডায়রির গন্ডি পেরিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালিকায় তার লেখা দেওয়া। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গন্ডি পেরুতেও লেগেছে বেশ কিছুটা সময়। ২০১৮ সালে ইসালামি অনলাইন পত্রিকা, আওর ইসলাম. কম এ নবিজীকে চিঠি লিখে জিতে নাও পুরষ্কার এ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। এবং দশ হাজার টাকার বই পুরষ্কার পায়। গল্পের প্রতি তার মোহ বেশি। তার মনের প্রধান আকর্ষণ। সে হিসেবে বিমল মিত্র, শরৎ চন্দ্র চট্রোপাধ্যায় তার প্রিয় লেখক। লজ্জাহর গল্পে বিমল মিত্রের প্রতি ভালোবাসা, আর মেঝ দিদি পড়ে শরৎ চন্দ্র চট্রোপাধ্যায়ের প্রতি তার ভালোবাসা জন্মে। সামগ্রিক বিবেচনায় আবু তাহের মেসবাহ, আহমদ মায়মূন, নাসিম আরাফাত, যায়নুল আবেদীন, শরীফ মুহাম্মাদ, হুমায়ুন আহমেদ, বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায় তার প্রিয় লেখক। বড় হয়ে আসলেও সে কিছু হতে পারবে কিনা সে তো ভবিষ্যত বলবে, তবে তার প্রবল ইচ্ছা এ এক জীবনে সে লড়ে যাবে। সে যুদ্ধ করবে। অবিরাম, প্রতিনিয়ত। কিছু স্বপ্নের জন্য। কিছু ভালোবাসার জন্য।