ইতিহাস কেন পড়বো? ইতিহাস পড়বো অতীতের সাথে সম্পর্ক গড়তে। অতীতকে যারা ভুলে যায়, তাদের পতন অনিবার্য। মুসলিম জাতি হিসেবে আমাদের হাজার বছরের গৌরবজ্জল ইতিহাস রয়েছে। একজন দক্ষ ঐতিহাসিকের হাতে যখন তা লিপিবদ্ধ হয়, স্বাভাবিকভাবেই সমকালীন সকল মুসলিমের জন্য তা অপরিসীম সৌভাগ্য বয়ে আনে। . মাওলানা ইসমাইল রেহান। এ সময়ের জননন্দিত ইতিহাসবিশারদ। বিশ্বস্ত হাতে যিনি লিখেছেন শত-সহস্র পৃষ্ঠা। সাধারণ থেকে বিশেষ, সবার নিকট তিনি সমাদৃত। তাঁর দক্ষ হাতেই রচিত হয়েছে তারিখে উম্মতে মুসলিমাহ বা মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস। সৃষ্টির সূচনাকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত; মুসলিম উম্মাহর আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও তাবৎ প্রেক্ষাপট নিয়ে বৃহৎ পরিসরে তিনি লিখে চলেছেন। পাকিস্তানের খ্যাতনামা এই ইতিহাসবিদের রচিত গ্রন্থটি অল্প সময়ের মধ্যেই কালজয় করে নিয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় শুরু হয়েছে এর অনুবাদকর্ম। গ্রন্থটির গুরুত্ব বিবেচনা করে মূল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে আর্থিক চুক্তির মাধ্যমে অনুমোদন পেয়ে বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করতে শুরু করেছে, মাকতাবাতুল ইত্তিহাদ। . পুরো সিরিজটি সমাদৃত হয়েছে আলেম-উলামা থেকে সাধারণ মানুষের মাঝেও। এর চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলছে। আরও ব্যাপকভাবে বইটি পাঠকের হাতে পৌঁছে দিতে আমরা এর ‘দাওয়াহ সংস্করণ’ প্রকাশ করেছি। দাওয়াহ সংস্করণে কেবল কাগজ ও বাঁধাইয়ে সামান্য তফাত থাকবে, ফলে মূল্যও কমে আসবে। স্বল্পমূল্যে বৃহদাকার বইটি খুব সহজেই সংগ্রহ করতে সক্ষম হবেন পাঠকরা, ইনশাআল্লাহ।
নাম মুহাম্মদ ইসমাইল। ‘ইসমাইল রেহান’ তার কলমি নাম। হাফেজ, মাওলানা। জন্মেছেন করাচীতে। পহেলা ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১। বাবা আব্দুল আজিজ। তার পূর্বপুরুষরা দেশভাগের সময় ইসলামি দেশে বসবাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাকিস্তানে হিজরত করেন। করাচীর পুরনো গোলিমার এলাকায় বড় হয়েছেন। মায়ের কাছে দ্বীনিয়াত বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি স্থানীয় স্কুলে ফরমাল এডুকেশন গ্রহন করেন। ১৯৮৬ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ভর্তি হন দারুল উলুম করাচীতে। বাহাদুরাবাদের জামেয়া মা’হাদুল খলীল আল ইসলামী থেকে ১৯৯৫ সালে তাকমীল সমাপন করেন। এর মাঝে আল্লামা আবদুর রশীদ নু’মানীর শিষ্যত্ব অর্জন করেন। তারপর ২০০৬ সালে করাচী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে বি.এ (সম্মান) এবং ২০১০ সালে করাচীর উর্দু বিশ্ববিদ্যালয় (FUUAST) থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি সমাপ্ত করেন। দীর্ঘ দুই দশক ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন। ‘যরবে মুমিন’ ও ‘রোজনামা ইসলাম’ পত্রিকায় কলাম লিখে বিখ্যাত হয়েছেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত মাসিক সুলূক ও ইহসান পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। শিশুদের জন্য প্রকাশিত একটি পত্রিকা ‘বাচ্চোঁ কা ইসলাম’ ও নারীদের নিয়ে প্রকাশিত ‘খাওয়াতিন কা ইসলাম’ পত্রিকার সম্পাদনা র সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।