সাধারণত সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের মাঝের আলোকিত সময়টার সাথেই মানুষের জীবনের আয়ুষ্কালের তুলনা করা হয়। বেলা বদলের মতোই বদলায় মানুষের জীবনবেলা। শৈশব থেকে কৈশোর, যৌবন গড়িয়ে বার্ধক্য নামে, মানুষ বৃদ্ধ হয়। জীবনের পরতে -পরতে থাকে প্রেম, বিরহ, ভালোবাসা, আকাঙ্খা ও উত্থান-পতন। থাকে ইহকাল ও পরকালের জন্য সঞ্চয়ের আপ্রাণ প্রচেষ্টা। এক জীবনের এই বেলা ফুরিয়ে এলে মানুষ পিছনে ফিরে তাকায়। শুরু করে পাপ পূণ্যের হিসেব, বেহিসেবি জীবনের অনুতাপ অনুশোচনার এবাদতি অনুশীলন। মূলত উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলিই "বেলা ফুরিয়ে এলে" বইটির পাতায় শব্দে, ছন্দে, কবিতায় খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন কবি মাহবুব হাসান। বর্তমান সময়ের দুর্বোধ্য কবিতার প্রতি পাঠকের অনিহা দূর করতেই তিনি গদ্য কবিতায় নিজস্বতার ছাপ এঁকে যোগ করেছেন এক নতুন মাত্রা। কাব্যপ্রেমী পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে কবিতাকে করেছেন সহজবোধ্য। দক্ষ হাতে নিখুঁতভাবে পুরো এক মানবজীবন নিয়ে করেছেন অকুণ্ঠ বিশ্লেষণ। কথার ভাব রসে কৌশলে কবিতায় প্রকাশ করেছেন প্রভু প্রেমের জিকির, রাসুল প্রেমের দরুদ। মরমি কবিতায় পাঠককে দিয়েছেন কিছু পরিশুদ্ধ জীবন গঠনে শিক্ষনীয় বার্তা। মানব জন্মের আদি-অন্তের প্রেমময় জীবন যাপনের কবিতার পাশাপাশি ইসলামিক জীবনবোধের কবিতার আধিক্য থাকার কারণেই বইটির নামকরণ করা হয়েছে "বেলা ফুলিয়ে এলে"।
গীতিকার, কবি ও কথা সাহিত্যিক মাহবুব হাসান একজন বহুমাত্রিক লেখক। অক্লান্ত শ্রম, নিরলস চেষ্টা, চৌকস মেধা ও মননে তার বিচরণ সাহিত্য ও সংস্কৃতির সকল অঙ্গনে। তার জন্ম ১৯৮৯ সালের ০২ অক্টোবর বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামে। তাঁর পিতা মোঃ সফিকুল ইসলাম ও মাতা মিসেস তাহেরা বেগম। এক যুগ অতিক্রান্ত সময়ে তিনি প্রকাশ করেছেন গল্পগ্রন্থ "বিবর্ণ বসন্তবেলা" ও "অতৃপ্ত হৃদয়ের ভালোবাসা"। কাব্যগ্রন্থ "তোমার প্রেমের প্রতিদান" "নীরব কান্না" "ভালোবাসার সাত রং" "প্রবাস প্রান্তরে" "কাব্যকানন" ও "বেলা ফুরিয়ে এলে"। তিনি ইসলামি সঙ্গীতাঙ্গনেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর গীতিকথায় রিলিজ হয়েছে অর্ধশতাধিক সঙ্গীত। সুস্থ ধারার সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে নবীনদের উদ্বুদ্ধ করতে একজন দক্ষ সংগঠক হওয়ার পাশাপাশি তিনি "স্বপ্নডানা" ত্রৈমাসিক পত্রিকা ও "জাগ্রত নিউজ" পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক হয়ে কাজ করছেন।