আনাস ইবনে মালেক রাদি. হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদি, ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিখ্যাত সাহাবিদের একজন। তিনি শিশু বয়সেই আল্লাহর রসুলের খাদেম হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। আল্লাহর রাসুল আনাসকে অনেক ভালোবাসতেন। হযরত আনাসও মনেপ্রাণে আল্লাহর রাসুলের সেবা করতেন। আল্লাহর রাসুল একবার খাদেম আনাসকে 'দুই কানওয়ালা' বলে ডাকলেন। তাঁর এমন ডাকের রহস্য হলো, হযরত আনাস ছিলেন আল্লাহর রাসুলের খাস খাদেম। ছোটবেলা থেকেই তিনি আল্লাহর রাসুলের খেদমত করছিলেন। হযরত আনাস অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও অনুগত সেবক ছিলেন। আল্লাহর রাসুল কখন কী বলেন, এর প্রতি তিনি সবসময় কান খাড়া রাখতেন। হযরত আনাসের এই বৈশিষ্ট্যের প্রতি ইঙ্গিত করেই আল্লাহর রাসুল তাঁকে 'দুই কানওয়ালা' বলে ডেকেছিলেন। আল্লাহর রাসুল হযরত আনাসকে কতটা ভালোবাসতেন, এই নির্মল কৌতুকের মাধ্যমে তা-ই প্রকাশ পেয়েছে। হযরত আনাসের মায়ের নাম উম্মে সুলাইম রাদি.। হযরত উম্মে সুলাইম একজন বিখ্যাত সাহাবি। তিনি দীনের অনেক বড় বড় খেদমত করেছেন। হযরত আনাস বলতেন, আমার ওপর আমার মায়ের সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ হলো, তিনি আমাকে আল্লাহর রাসুলের খেদমতে পাঠিয়ে আমাকে মানুষ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
মাওলানা মুনীরুল ইসলাম ১৯৮০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার খামারগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নব্বই দশকের শুরুর দিকে ক্যাম্পাসের বড় ভাইদের দেয়ালিকা লেখা দেখতে দেখতে তিনি লেখতে শুরু করেন। তৎকালীন মাসিক জাগো মুজাহিদ-এর জানুয়ারি-১৯৯৫ সংখ্যায় ছাপার হরফে তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। তার লেখা গ্রন্থের সংখ্যা ৪০টির মতো। সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় তার বিচরণ রয়েছে। তবে আকাবির ও ইতিহাসের গল্প চমৎকার মুনশিয়ানার সঙ্গে উঠে আসে তার কলমে। ‘জীবন গড়ো সিরিজ’ ও ‘খোশবু সিরিজ’-এ লিখেছেন ছোটদের জন্য চমৎকার কিছু বই। ছড়া-কবিতার প্রতি রয়েছে আলাদা ঝোঁক। ইসলামি সংগীত রচনায়ও তার দখল রয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর কয়েকটি অ্যালবামে তার সংগীত রিলিজ হয়েছে এবং শ্রোতামহলে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। লেখালেখিতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি মাসিক আদর্শ নারী লেখক সম্মাননা-২০১২; সত্যের সন্ধানে লেখক সম্মাননা-২০১৫, কাব্যকথা জাতীয় সাহিত্য পদক-২০১৫, আমরা এক কাফেলা লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সম্মাননা-২০২১ সহ অনেক পুরস্কার ও সনদ লাভ করেছেন। তিনি ২০০১ সালে বেফাকের অধীনে জামিয়া আরাবিয়া কাসেমুল উলূম কুমিল্লা থেকে দাওরায়ে হাদিস এবং ২০০৪ সালে সোনাকান্দা দারুল হুদা বহুমুখী কামিল মাদরাসা কুমিল্লা থেকে কামিল [মাস্টার্স] সম্পন্ন করেন। এছাড়াও লেখালেখি ও সাংবাদিকতা বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। এক যুগেরও বেশি সময় তিনি মাসিক আদর্শ নারী’র সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি লেখালেখি, সম্পাদনা এবং শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি লেখকপত্রের নির্বাহী সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক। বইপত্র সম্পাদনা ও প্রকাশের ঠিকানা সম্পাদনা কেন্দ্রে’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকও তিনি।