টারজান মানেই আবেগ! টারজান মানেই শৈশবে হারিয়ে যাওয়া। টারজান মানেই পশুপ্রেম, প্রকৃতিকে ভালোবাসা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, বিবেককে জাগ্রত করা। এখনকার এই ডিজিটাল যুগে সবার হৃদয় জয় করা সেই টারজানকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমান শিশু-কিশোরেরা তো টারজানকে চিনেই না। অথচ আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন টারজান বলতে ছিলাম পাগল। কি চলচ্চিত্র কি গল্প! উভয়তেই মুগ্ধ হয়ে যেতাম। একবার টারজানের বই হাতে নিলে নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়ে শেষ না করে উঠতে মন চাইত না। কিন্তু খুব আপসোস হয় যে, এখনকার শিশু-কিশোররা সেই আবেগের ছোঁয়া পাচ্ছে না। জাগ্রত হচ্ছে না তাদের হৃদয়। শিখছে না বা অনুপ্রাণিত হচ্ছে না জীব-জন্তুকে এবং গাছপালাকে তথা প্রকৃতিকে ভালোবাসতে। যার ফলশ্রুতিতে দেখা যাচ্ছে অবাধে পশু-পাখি শিকার এবং নির্বিচারে বৃক্ষনিধন। তাই আমরা নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি―এই প্রজন্মের হাতে আবার টারজানকে তুলে দিতে। যাতে তারা প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শিখে। তারা সত্যিকারের হৃদয়বান মানুষ হয়ে ওঠে। এখনকার ছেলেমেয়েদের বই পড়ার অভ্যাস নেই বললেই চলে। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ছোটদের সবার প্রিয় রকিব হাসান অনূদিত এই টারজান সিরিজের যেকোনো একটি বই একবার কোনো ছেলেমেয়ে হাতে নিলে শেষ না করে উঠতে পারবে না। আমাদের এই প্রয়াসে সব অভিভাবকদেরও সহযোগিতা চাই―তাঁরা যেন তাঁদের সন্তানের হাতে প্রযু্ক্তির পাশাপাশি টারজানের একটি বইও তুলে দেন। কারণ প্রকৃতিকে ভালোবাসতে পারলে ওরাও একদিন স্লোগান তুলবে―ফিরিয়ে দাও সেই অরণ্য।