নৃবিজ্ঞান বর্তমানে কেবল মাত্র মানুষের দৈহিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের বিশ্লেষণাত্মক মানববিদ্যা রূপেই সীমাবদ্ধ নয় এর রয়েছে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের একটি নিবিড় ভূমিকা। মানুষের দৈহিক ও সাংস্কৃতিক-সামাজিক প্রবণতা উপলব্ধি করা না গেলে মানব- উন্নয়ন ও উন্নয়ন-পরিকল্পনা প্রণয়ন করা সম্ভব নয়। সে জন্য নৃবিজ্ঞান অধ্যয়ন, অনুশীলন ও চর্চা অনিবার্য। একারণে সাম্প্রতিক কালে সারা বিশ্বে নৃবিজ্ঞান চর্চা ও অধ্যয়নে গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে। আলোচ্য গ্রন্থটিতে নৃবিজ্ঞানের ব্যবহারিক ও ফিল্ডওয়ার্ক ভিত্তিক কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত। বিষয়সমূহ অনুপুঙ্খ করার লক্ষ্যে বেছে নেয়া হয়েছে বাংলাদেশের একটি বিশেষ অঞ্চল ‘উত্তরবঙ্গকে'। নির্বাচিত প্রবন্ধসমূহের অনেকগুলো ইতোপূর্বে বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞানের পঠন পাঠন প্রবর্তিত হয়েছে । সমাজবিজ্ঞান ও ফোকলোর বিভাগেও রয়েছে নৃবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। উন্নয়ন- সহায়ক কর্মকাণ্ডেও নৃতত্ত্বের ভূমিকা হয়ে পড়েছে অপরিহার্য। এই প্রেক্ষাপটে আলোচ্য গ্রন্থটি উচ্চতর শ্রেণীর পঠন পাঠন এবং সুধি ও অনুসন্ধানী পাঠকের কৌতূহল নিবৃত্তিসহ উন্নয়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস । এ বই প্রকাশে আমার বন্ধু বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নিবন্ধন কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম-এর সহযোগিতা আমাকে ঋণী করেছে। বইটির প্রকাশক-এর স্বত্বাধিকারী জনাবকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই ।