আজকের পৃথিবী যুদ্ধ, সংঘর্ষ, রক্ত ও ধ্বংসযজ্ঞের ফলে উত্তপ্ত হয়ে আছে। মানবজাতি এক চূড়ান্ত পরিণতির অপেক্ষায় রয়েছে। পৃথিবীর প্রধান ধর্মগুলোর ভবিষ্যৎবাণী বলছে⸺কেয়ামতের আগে পৃথিবীজুড়ে এক বিস্তৃত ও সর্বব্যাপী লড়াই সংগঠিত হবে! এটি হবে শুভ-অশুভর চূড়ান্ত লড়াই! হক-বাতিলের চূড়ান্ত যুদ্ধ! এই যুদ্ধের ফলে বিশ্বের বর্তমান মানচিত্রই আমূল বদলে যাবে। নতুনভাবে বিশ্ব-ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।খ্রিস্টীয় বিশ্বাস মতে⸺‘ইতিহাসের এই মহারণক্ষেত্রে ‘যিশু’ শয়তানি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে সত্যের জয় ছিনিয়ে আনবেন।’ আর ইহুদিরা মনে করে⸺‘মহাপ্রলয়ের আগে এই মহাযুদ্ধে ইহুদিজাতির ত্রাণকর্তা (শান্তির বাদশাহ) ‘মালেকুস সালাম’ (একচোখ বিশিষ্ট দাজ্জাল) -এর নেতৃত্বে দুনিয়াব্যাপী ইহুদিদের একচ্ছত্র রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। ’কিন্তু মুসলিম জাতি বিশ্বাস করেন⸺‘কেয়ামতের আগে নেতৃত্বশূন্য মুসলমানদেরকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইমাম মাহদি আগমন করবেন। তাঁর নেতৃত্বে মুসলমানরা ‘শাম দেশে’ মহাযুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন। ওই যুদ্ধে মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয়ের সন্ধিক্ষণে আকাশ থেকে ফেরেস্তার ডানায় ভর করে হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম নেমে আসবেন। তিনি ওই একচোখা দাজ্জালকে হত্যা করবেন। ’এটিই হচ্ছে আল-মালাহামতুল উজমা! দ্য ব্যাটল অব আরমাগেডন! ইহুদি-খ্রিস্টানরা কীভাবে এই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে! দাজ্জালের অগ্রগামী বাহিনী কীভাবে ষড়যন্ত্রের ঘেরাও ছোট করে আনছে! অত্যাধুনিক টেকনোলোজি কীভাবে দাজ্জালি শক্তির জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে! ডাক্তার ইসরার আহমদ রহঃ আজীবন এই ব্যাপারে উম্মাহকে সতর্ক করে গিয়েছেন। শেষ যুগে ঘটিতব্য হক-বাতিলের চূড়ান্ত লড়াই সম্পর্কে জানতে পড়ুন ‘দ্য ব্যাটল অব আরমাগেডন’