মুসলিম জাতি আজ শতধাবিভক্ত। কারণ তারা ঈমানের সঙ্গে শিরক, বিদআত ও কুফর এক করে ফেলেছে। ফলে তাদের অন্তরে তাওহীদী চেতনা নেই। বললেই চলে। আমাদের অন্তরে অন্তরে শিরক ও বিদআতের মতো মহাপাপ এমনভাবে বাসা বেঁধেছে যা থেকে আমরা কোনভাবে মুক্ত হতে পারছি না। একজন মু'মিন অপর মু'মিনের জন্য আয়নাতুল্য, অতএব অপর ভাইয়ের ভুল- ত্রুটি শুধরিয়ে দেওয়া ঈমানী দায়িত্ব। মহান আল্লাহ বলেন: (إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إذا ذكر الله وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ) [الأنفال: ٢] নিশ্চয়ই মুমিনরা এরূপই হয় যে, যখন (তাদের নিকট) আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন তাদের অন্তরসমূহ ভীত হয়ে পড়ে, আর যখন তাদের সামনে তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে। আর তারা প্রতিপালকের উপর নির্ভরশীল হয়। (সূরাহ আশ ৮: 2 ) আর এই বিশ্বাস তাওহীদের অংশবিশেষ। যে অন্তরে তাওহীদ নেই, সেই অন্তরে শিরক ও বিদআতে পরিপূর্ণ। আমরা এ গ্রন্থে তাওহীদ বনাম শিরক ও সুন্নাত বনাম বিদআত বিষয়গুলো কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তারপরও মানুষ মাত্রই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। অতএব কোন ভুলত্রুটি সুহৃদয় পাঠকের দৃষ্টিগোচর হলে তা পরবর্তী সংকরণে সংশোধনের আশা রাখছি, ইনশাআল্লাহ । . বিনীত- জহুর বিন ওসমান