জীবনের কোনো সময়ই বৃথা যায় না। ফেলে আসা সময়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগে- হোক তা দুঃখের বা সুখের। আমি যখন লিখতাম নারী পাতায়, তখন কখনো ভাবিনি লেখাগুলো নিয়ে সংকলনগ্রন্থ প্রকাশ করব। এখানেও স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তানভীর আহমেদ। একদিন আমাকে বললেন, 'লেখা আর ছবি সংগ্রহ করে রাখবেন। কখনো বই আকারে প্রকাশ করতে পারবেন।' আজ নারীবিষয়ক লেখাগুলো নিয়ে বই প্রকাশ করতে গিয়ে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি তাঁকে। নারীদের অনেকরকম সামাজিক সমস্যা রয়েছে। যেমন, তালাকপ্রাপ্ত নারীর সামাজিক বঞ্চনা, বহুবিবাহ, বৃদ্ধের তরুণী স্ত্রী, কম যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করা, বিয়ের বয়স, লিভিং টুগেদার, প্রবীণ নিবাস, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ ইত্যাদি নানা সমস্যা। এই গ্রন্থে সংকলিত প্রতিবেদনগুলো ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে প্রকাশিত। তাই সেসময়কার সামাজিক প্রেক্ষাপট পাওয়া যাবে লেখাগুলোতে। আজ থেকে প্রায় ২০/২২ বছর আগের সমাজে নারীদের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে থাকবে। এটি যে কেবলমাত্র ব্যক্তিগত লেখার সংকলনগ্রন্থ তা নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তনের ইতিহাসে একখণ্ড সময়ের সাক্ষী। বিশ্বের সকল নারী-পুরুষের মঙ্গল কামনা করছি।
জন্ম ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭৫। বাবা মো. আবদুল লতিফ, মা আফরোজা বেগম। কুর্মিটোলা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স। ২০০৫ সালে বিসিএস (শিক্ষা) কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তিনি একজন আবৃত্তিশিল্পী। মুক্তধারা সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সদস্য। প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ: জলতরঙ্গ (কবিতা, ২০১৭), ঘুণপোকা (গল্প, ২০১৮), এই শহরের রূপকথা (কবিতা, ২০১৯), রোজ গার্ডেন (আধিভৌতিক উপন্যাস, ২০১৯), সুরের আগুন (উপন্যাস, ২০২০) ।