শিকারি ঔরতেঁ (শিকারি আওরত) পরম বিনোদনসমৃদ্ধ ও আনন্দোচ্ছ্বাসপূর্ণ এক বিস্মৃত আধুনিক ক্ল্যাসিক। সাতটি গল্প ও দুটি জীবনীর (সিতারা ও মীরাটের শানিত বুদ্ধির ঝলক) এক অমূল্য সাহিত্য-সম্পদ। ১৯৫০ সালের লাহোর, বোম্বাই ও অমৃতসরের পটভূমিকায় রচিত। এ বইয়ের অধিকাংশ গল্পেই নারীরা নিগৃহীত বা অবহেলিত নয়, বরং তারা স্মার্ট, চতুর, আস্থাশীল; এমনকি প্রতিশোধপ্রবণ। গল্পগুলো পাঠককে নিয়ে যাবে অতীতের সময়রেখায়। মান্টোর অন্য সব গল্পের মতো এই গল্পগুলোতেও প্রতিফলিত হয়েছে সামাজিক- রাজনৈতিক বিক্ষোভ, ভণ্ডামি, উন্মত্ততা আর সময়ের বিষাদ ও হতাশায় ভরা কৌতুক। আত্মজৈবনিক এই গল্পগুলোতে মান্টোর ভিন্ন এক সত্তা আবিষ্কার করা যায়। চরিত্রগুলো কখনো-কখনো আঘাতে-আঘাতে জর্জরিত ও বেদনা-মথিত—তাদের জীবনবীণায় বেজে ওঠে ট্র্যাজেডির করুণ সুর, আবার কখনো তারা কোমল, যৌনগন্ধী ও উল্লাসমুখর। দিলওয়ার হাসান দীর্ঘদিন মৌলিক কথাসাহিত্য রচনার পাশাপাশি অনুবাদ করছেন। বিদেশি ভাষার সাহিত্য বাংলায় রূপান্তরে তিনি এরই মধ্যে বিশিষ্টতা অর্জন করেছেন। মান্টোর গল্পগুলো অনুবাদে তাঁর ভাষা-দক্ষতার সঙ্গে শিল্পবোধের পরিচয় পাওয়া যায়।