সমাজ সম্পর্কিত বহুবিধ জ্ঞানের সমন্বিত রূপই হচ্ছে সমাজবিজ্ঞান। এ প্রেক্ষাপটে সমাজ কিভাবে সৃষ্টি হয়, কিভাবে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হয়, পারস্পরিক স্বার্থরক্ষার মাধ্যমে এরা কিভাবে সংহতি অর্জন করে, কিভাবে সামাজিক বিধিবিধানগুলো অবারিত ধারায় প্রবাহমান থাকে তা সবই সমাজবিজ্ঞানে আলোচনা করা হয়। সমাজবিজ্ঞানের উষালগ্নে শহরের নানাবিধ সমস্যা ও তার প্রকৃতি সম্পর্কে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করা হলেও বর্তমানে তা সমস্ত সমাজ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা বিশেষণের প্রয়াস চালায়। বর্তমান বিশ্বে নৃগোষ্ঠী, বর্ণগোষ্ঠী, এথনিক গ্রুপ, সংখ্যালঘু সংক্রান্ত অন্যতম প্রধান আলোচিত বিষয়। আর সময়ের প্রয়োজনে সমাজবিজ্ঞানের বহুবিধ শাখা প্রশাখার উৎপত্তির হাত ধরেই উদ্ভব ঘটেছে সংখ্যালঘু সমাজবিজ্ঞানের। সংখ্যালঘু সমাজবিজ্ঞান প্রতিটি সমাজেরই সমান গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেয়, যেখানে নরগোষ্ঠী, বর্ণগোষ্ঠী, এথনিক গ্রুপসহ নানা প্রকার সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক জীবনধারা আলোচিত হয়ে থাকে। বলা যায় বয়সে নবীন হলেও বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে সমাজতাত্ত্বিক গবেষণায় সংখ্যালঘু সমাজবিজ্ঞান অত্যন্ত মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছে।
Title
সংখ্যালঘুদের সমাজবিজ্ঞান এমএসএস - মাস্টার্স শেষ বর্ষ