জাতীয় সংসদ একটি গণতান্ত্রিক দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সার্বভৌম ক্ষমতাবলে সংসদ একটি সভ্য ও অগ্রসর জাতির জন্য যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করে। যেখানে চূড়ান্ত হয় সরকারের আয়-ব্যয়ের খতিয়ান। এছাড়া নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সদস্যগণ তাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন। চলে যুক্তি, তর্ক, যা একটি দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র অনুশীলনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে যে কয়েকজন তরুণ প্রাণ জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম জুনাইদ আহমেদ পলক। শেখ হাসিনার তরুণ এই তুর্কি তাঁর প্রজ্ঞা, কর্মদক্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ২০০৮ সালে চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-৩ আসনে মানুষের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মহান জাতীয় সংসদে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান জুনাইদ আহমেদ পলক। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০০৯ সালে শুরু হওয়া নবম জাতীয় সংসদে তিনি ছিলেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। এরপর থেকেই অত্যন্ত সাবলীল, জ্ঞানগর্ভ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বক্তব্য ও বিশ্লেষণ তুলে ধরে শুধু সংসদেই নয়, পুরো দেশবাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। পরিণত হয়েছেন তারুণ্যের ‘আইকন’ হিসেবে। সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন একনিষ্ঠ অনুসারী। আর তাই পবিত্র সংসদে যে তিনি বাংলার অবিসংবাদিত নেতার প্রতি অবনত ও শ্রদ্ধাশীল থেকে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেছেন। একজন তরুণ, পরিশ্রমী ও প্রজ্ঞাবান সংসদ সদস্য হিসেবে জুনাইদ আহমেদ পলক জাতীয় সংসদে যে অবদান রেখে চলেছেন তা এক কথায় অতুলনীয়। সংসদে বক্তব্য, যুক্তি উপস্থাপন, আলোচনা বা প্রশ্নের উত্তরে তাঁর বিনয়, শব্দচয়ন, বাচনভঙ্গি ও জ্ঞানের গভীরতায় তিনি এক মাইলফলক তৈরি করেছেন। এই বইয়ের পাতায় পাতায় রয়েছে তার সেই সব কথা।
একজন আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪ সালের জানুয়ারি ও ২০১৮ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিপুলভোটে জয়লাভ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জুনাইদ আহমেদ পলক ১৯৮০ সালের ১৭ মে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সেরকোল তেলিগ্রাম-এ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ফয়েজ উদ্দিন এবং মায়ের নাম জামিলা আহমেদ। তিনি ১৯৯৫ সালে সিংড়া দমদমা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৭ সালে রাজশাহী ওল্ড ডিগ্রি কলেজ (বর্তমানে রাজশাহী কলেজ নামে পরিচিত) থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এল.এল.বি ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। তাঁর স্ত্রীর নাম আরিফা জেসমিন (কনিকা)। এ দম্পতির তিন সন্তান। তাঁরা হলো অপূর্ব জুনাইদ, অর্জন জুনাইদ এবং অনির্বাণ জুনাইদ। বাবা মরহুম ফয়েজ উদ্দিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বিশ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের একজন- সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেন। ২৮ বছর বয়সে ২০০৮ সালে সিংড়া নির্বাচনী এলাকা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। ২০১৬ সালের মার্চে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জুনাইদ আহমেদ পলককে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬’ হিসেবে মনোনীত করে। ৪০ বছরের কম বয়সী তরুণদের নাম প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি Young Bangla এবং CRI-এর উদ্যোগ ও কার্যক্রমের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। ২০১৮ সালে বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণী সংস্থা অ্যাপলিটিক্যাল-এর প্রকাশিত ডিজিটাল গভর্নমেন্টে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পান জুনাইদ আহমেদ পলক।