সিরাজ প্রথমে ভেবেছিল, রোমানের প্রেমিকাই চিঠিটা দিয়েছে তাড়াতাড়ি বিয়ের মাধ্যমে সকল সমস্যা, সন্দেহ ও জটিলতার মীমাংসা করতে। কিন্তু এতো তা নয়। এযে রোমানের জন্মদাতার চিঠি, তাঁরই আদেশপত্র এবং বিষয়টি রোমানের পারিবারিক। এতে সিরাজের উপদেশ দেবার, পরামর্শ করারই বা কি আছে? রোমানের পিতার আদেশ বা সিদ্ধান্তকে পরিবর্তিত করবার মত অভিভাবকত্বে সিরাজের ভূমিকা শূন্যের মানতুল্য। রোমানের বাড়ি লাকসামে, আর সিরাজের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। সে ভেবে দেখল, দুজনের মধ্যে রক্তের বন্ধন তো নেই-ই, প্রতিবেশীত্বের বদলে আছে পরদৈশিকতা। বন্ধুত্বটুকু শুধুমাত্র সহাবস্থান ও সতীর্থতার জন্যই। সুতরাং রোমানের এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করাটা অনধিকার চর্চ্চা বই কি হতে পারে? দুজনার বাসস্থান এখন এক, কিন্তু জন্মস্থান অভিন্ন হলে না হয় রোমানের বাবাকে সে বুঝিয়ে বলতে পারত যে, রোমান একটি মেয়েকে ভালবেসে কথা দিয়েছে তাকে বিয়ে করার। সিরাজ ভাবতে লাগল, সে একই গ্রামের হলে বন্ধুত্বের খাতিরে না হয় রোমানের পিতাকে জ্ঞাত করাত যে, সে তার প্রেমিকাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না। সিরাজ চিঠিটা পড়ে পূর্ববৎ ভাঁজ করে রোমানকে দিল। দুজনেই কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইল।