নিজেকে সে অলিভার স্টোন নামে পরিচয় দেয় , যদিও তার অতীত জানে না কেউ। তার বেশিরভাগ দিন কাটে হোয়াইট হাউসের বিপরীতে প্রটেস্টার হিসেবে ক্যাম্প করে, সাথে থাকে ‘আমি সত্য জানতে চাই’ লেখা একটা সাইন। ঘটনাক্রমে একদিন চোখের সামনে এক ইন্টেলিজেন্স অ্যানালিস্টকে খুন হতে দেখে অলিভার স্টোন এবং তার বন্ধুরা । কিন্তু খুনটাকে সাজানো হয় আত্মহত্যা হিসেবে। সত্যের সন্ধানে নামে অলিভারের দল, যারা নিজেদের পরিচয় দেয় ক্যামেল ক্লাব নামে। সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে এই ‘তদন্তে’ নজর রাখার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় এজেন্ট অ্যালেক্স ফোর্ডকে, কিন্তু অনাকাঙ্খিত জায়গায় নাক গলানোর কারণে শাস্তি হিসেবে তাকে ফেরত পাঠানো হয় দেহরক্ষী দ্বায়িত্বে। তারপরও তার পিছু ছাড়ে না অজানা আততায়ী। এদিকে পেনসিলভেনিয়ার ছোট্ট এক শহরে জমায়েত হয়েছে একদল সন্ত্রাসী। তারা এমন এক পরিকল্পনা করেছে যা কাঁপিয়ে দেবে পুরো বিশ্বকে। কিন্তু তাদের টেক্কা দেয়ার আশায় ওৎ পেতে আছে আরেক ভিনদেশি সামরিক বাহিনী। ইন্টেলিজেন্স চিফ কার্টার গ্রে, প্রেসিডেন্টের পর যে অ্যামেরিকার সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি, ঘাবড়ে যায় আর্লিংটন সেমেটারিতে একটা চেহারা দেখতে পেয়ে। কারণ সেই চেহারা যে মানুষটার আরও বহু বছর আগেই তার মরে যাওয়ার কথা ছিল... ভয়ংকর এক ষড়যন্ত্র উন্মোচনের জন্য ক্যামেল ক্লাব হাজির হয় ওয়াশিংটনের একদম হৃৎপিন্ডে অবস্থিত ক্ষমতার গোপন করিডোরে, আর তখনই অ্যালেক্স ফোর্ড বুঝতে পারে সত্যি হতে যাচ্ছে তার জীবনের চরমতম দুঃস্বপ্ন...
ডেভিড বালডাচি ১৯৬০ সালে আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর আইনের উপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে নয় বছর ওয়াশিংটন ডিসিতে আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। এপর্যন্ত ৪০টি থ্রিলার উপন্যাস লিখেছেন তিনি; যা ৪৫টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং সারা পৃথিবী ব্যাপী প্রায় ১১০ মিলিয়ন কপি বই বিক্রি হয়েছে। তার প্রথম উপন্যাস 'অ্যাবসলিউট পাওয়ার' এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, এ বইয়ের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে হলিউডে মুভি বানানো হয়। 'নো ম্যান'স ল্যান্ড' লেখকের জন পুলার সিরিজের চতুর্থ উপন্যাস। সিরিজের প্রথম উপন্যাস 'জিরো ডে'। ডেভিড বালডাচি বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় বসবাস করছেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক এবং মানবিক সাহায্য সংস্থার সাথে জড়িত আছেন। নিরক্ষরতা দূর করার জন্য কাজ করে যাওয়া 'উইশ ইউ ওয়েল ফাউন্ডেশন' এর কো-ফাউন্ডার তিনি।