রোমানদের দেশে (মূলভাব) ভ্রমণ পিপাসু, নতুনের প্রতি কৌতূহলী, ইতিহাস জানতে আগ্রহীদের বই রোমানদের দেশে। রোমান সাম্রাজ্য, রোম, ভেনিস, পম্পেই এবং ইতালি নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে তাদের জন্য লেখা বই রোমানদের দেশে। এই ভ্রমণ কাহিনীতে উল্লেখ আছে বর্তমান ইতালির বেশ কিছু দর্শনীয় এলাকায় পর্যটনের অভিজ্ঞতা। প্রাকৃতিক রুপ বৈচিত্রে সমৃদ্ধ ইতালি এবং ইতিহাস সমৃদ্ধ দুটোরই উল্লেখ আছে লেখকের বর্ণনায়। সেইসাথে আছে ইতালিতে লেখকের দেখা বিশেষ ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো সম্পর্কে তথ্য সম্বলিত ইতিহাস, বর্তমান এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব। রোমানদের দেশে দুবার যাওয়ার সৌভাগ্য হয় লেখকের। দুবারের অভিজ্ঞতায় তিনি যা দেখেছেন তার প্রায় সবটুকুই তুলে ধরেছেন এই ভ্রমণ কাহিনীতে। এছাড়াও রোমানদের দেশে ভ্রমণকাহিনীতে উল্লেখ আছে ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের জীবন ও জীবিকার কথা। এই ভ্রমণকাহিনীটি বই আকারে প্রকাশিত হওয়ার আগে ২০২৩ সালে ধারাবাহিক ভাবে ছাপা হয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ইউরোপ সংস্করণে। পত্রিকায় পাঠক প্রিয় হওয়া এই ভ্রমণ কাহিনীতে আরো স্থান পেয়েছে ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশীদের উপর লেখা একটি তথ্য প্রতিবেদন। যা একটি বিশেষ ফিচার হিসেবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ছাপা হয় দেশের স্বনামধন্য দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকার বিশেষ সংখ্যায়। বইটির সাথে আপনার সময় সুখকর হোক। সেই কামনা রইল।
তাসনুভা সোমা একজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী লেখক। তার জন্ম, পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর ঢাকা শহরে। এসএসসি ও এইচএসসি শেষ করেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে। মাতৃভূমি ছেড়ে বিলেতে আসার পর উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন ব্যবসায়িক প্রশাসনে। এছাড়াও ডিপ্লোমা করেছেন বেশ কয়েকটি বিষয়ে। সন্তান ও পারিবারকে সময় দেয়ার উদ্দেশ্যে এক সময় সরে আসেন কর্মজীবন থেকে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিলেতে বসবাস করলেও, বাংলা ভাষার প্রতি অপরিসীম টান থেকে বাংলায় সাহিত্য চর্চা করে গেছেন নিয়মিত। ছোটবেলা থেকেই লেখার অভ্যাস তার। তবে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ২০১৯সালে। শখ থেকে তার লেখার শুরু এবং লিখছেন সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায়। পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখা ছাড়াও লিখছেন উপন্যাস, ছোটোগল্প, বড়গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা ও ভ্রমণ কাহিনি। লেখকের পছন্দের বিষয়ের মধ্যে আছে মানবজীবন ঘেষা ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং অর্থনীতি। লিখতে ভালবাসেন চারপাশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, ইতিহাস, মানবজীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না নিয়ে। বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে তার লেখা দেড় শতাধিক কলাম ছাড়াও ছাপা হয়েছে ভ্রমণ কাহিনি, ছোট গল্প ও প্রবন্ধ।