অপরাধের প্রজননস্থল মানব সমাজ। সমাজে যেমন সৃজনশীলতা ও সুকুমারবৃত্তির চর্চা চলে, তেমনি সমান্তরালে চলে মানব সমাজে লুকিয়ে থাকা অপরাধীদের দুর্বৃত্তায়ন মানুসিকতা ভয়াল তৎপরতা। সুকুমারবৃত্তি আর দূর্বৃত্তায়নের সমান্তরালে একটি উচ্ছল তরুণী আপনজনের পাশবিক লালসার শিকার হলেও সমাজের নানান ঘূর্ণাবর্তে ঘটনাটি রহস্যের গভীর-আবরণে নিমজ্জিত হতে থাকে। সমাজের দুষ্টমতির কুশীলবরা নানান কৌশল অবলম্বন করতে থাকে অপরাধীকে বিচারের হাত হতে রক্ষা করতে। তাদের সুশীল ও সৌজন্যতার আড়ালে দুষ্টমতির ঢেউ খেলা করে। সত্যের বিপক্ষে সমাজের সরলমতির মানুষকে ভুল বুঝিয়ে নিজের পক্ষে জনমত গড়ে তুলে প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করে। সত্যের স্বরূপ ও তার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ তদন্তে নামে। রহস্য, গুজব আর রটনার অন্তরালে সত্য ধূসর হয়ে যায়। সমাজপতিরা জনমতের জিকির তুলে জনমতের স্রোতের প্রতিক‚লে পুলিশ সেই উচ্ছল তরুণীর হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করে। প্রতিশ্রæতিপরায়ণ একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিজ্ঞানের আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে লুক্কায়িত সত্যকে বের করে নিয়ে এসে অপরাধীকে কীভাবে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করায়Ñ তারই রহস্য ঘেরা রোমাঞ্চকর ডিটেকটিভ কাহিনির এই বই।