ভ্রমণ করতে কে না ভালোবাসে? ভ্রমণ করতে গেলে কোন না কোন গল্প তৈরি হয়-ই। আর সেসব গল্প সবাইকে জানাতে ইচ্ছা কার না করে! ছোট্ট ছোট্ট সেইসব গল্পকথাকে স্মরণীয় করে রাখতে ভ্রমণকাহিনি লেখার প্রয়াস থাকে লেখকদের। এসব ভ্রমণকাহিনি পড়ে পাঠকেরা লাভ করে এক অনাবিল আনন্দ। ভ্রমণ করতেও উৎসাহী হয়, অনুপ্রেরণা লাভ করে। কিছু জ্ঞানের পরিধি তো বাড়ে নিশ্চয়ই। এ ভ্রমণকাহিনিটিতে লেখক মূলতঃ গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে। ওখান থেকেই তার কাশ্মীর ভ্রমণে যাওয়া। এক অসাধারণ জার্নি ছিলো তার। নানা প্রতিক‚লতা তো ছিলোই। বর্ষণমুখর দিনে প্রতিক‚ল আবহাওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে শ্যামল সবুজ আর ফুলে ফলে সুশোভিত দারুণ এক কাশ্মীরের রূপ প্রত্যক্ষ করে এসেছিলেন তিনি। সকলেই যেখানে বরফের রাজ্য হিসেবে কাশ্মীরকে দেখতে যান। বৃষ্টির সময়ে কাশ্মীর ভ্রমণ নিঃসন্দেহে খুব বিপজ্জনক। অবশ্য এ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের ভালো লাগবে কাশ্মীর ভ্রমণ। বরফে-ঢাকা কাশ্মীর এক অন্যরকম সুন্দর। আর বর্ষায় তো তার অনন্য সাধারণ আরেকটি রূপ যেটি অনেকেরই অজানা। লেখক সেটিই তুলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছেন তার এ ভ্রমণগল্পে। আরো রয়েছে কাশ্মীরের বৈচিত্র্যময় মজাদার খাবার দাবার আর পোশাকের কথা। কাশ্মীরীদের জীবনধারা আর দেশ ভাবনার কিছু তথ্যও উঠে এসেছে লেখকের চোখের দেখা ও সাধারণ লোকদের সাথে তার নিবিড় আলাপচারিতায়। কাশ্মীরের শ্রীনগর, পেহেলগাম, আরুভ্যালি, বেতাব ভ্যালি, গন্ডোলা পাস, গুলমার্গ, সোনমার্গ -এর অজানা কিছু অভিজ্ঞতার প্রাঞ্জল বর্ণনা রয়েছে এ বইতে। দরিদ্র ও সাধারণ কাশ্মীরীদের অবস্থাও এখানে বিধৃত। সব মিলিয়ে দারুণ এ ভ্রমণ অভিজ্ঞতার স্বাদ পাঠকদের তুলে দিতে চেয়েছেন লেখক। অত্যন্ত সাবলীল, সহজ ও সাদামাটা বর্ণনায় তিনি বলতে চেয়েছেন তার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। আশা করছি ভ্রমণ প্রিয় পাঠকদের মনের খোরাক যোগাতে সক্ষম হবে।