স্মিথ অ্যান্ড দ্য ফারাওস: কে জানত, দুবারের বেশি তৃতীয়বার মূর্তিটির দিকে স্মিথের তাকানোটাই কাল হবে? কে জানত, বহু বছর আগে মারা যাওয়া এক রানির মূর্তি দেখেই তার প্রেমে পড়া যুবকটি হয়ে উঠবে মিশরবিদ? আর কে-ই বা জানত, কোনো এক রহস্যময় দিনে তারই বিচার বসবে অতীতের সব ফারাওদের উপস্থিতিতে? অনলি আ ড্রিম: মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ভালোবাসাও কি মারা যায়? বোধহয় না। যদি যেত, তাহলে ফ্র্যাঙ্কের দ্বিতীয় বিয়ের আগের রাতে, মৃত্যুর ওপার থেকে ফিরত না তার প্রথমা স্ত্রী। মনে করিয়ে দিত নাওয়াদার কথা। তারপর? মাগেপা দ্য বাক: শেষ যেবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছিলেন কোয়াটারমেইন এবং মাগেপা, সেবার কোনোক্রমে জান হাতে নিয়ে ফিরতে পেরেছিলেন। মাগেপাও দ্রুত ছুটে বুঝিয়ে দিয়েছিল—কেন তাকে 'মাগেপা দ্য বাক' বলা হয়। কিন্তু সেই ঘটনার তিরিশ বছর পর, আবারও কি নিজের দ্রুত গতির প্রমাণ দিতে পারবে মাগেপা? লং অডস: আমরা সবাই জানি, খুঁড়িয়ে হাঁটেন কোয়াটারমেইন। কিন্তু কেন? জাত শিকারি ভদ্রলোকের এহেন পঙ্গুত্বের পেছনের কারণটাও নিশ্চয়ই শিকার সংক্রান্তই হবে? একবেলায়, একধাক্কায় চারটে সিংহ শিকারের সেই গল্পটি...আপনিও কি শুনতে চান? হান্টার কোয়াটারমেইন'স স্টোরি: কে শিকার, আর কে-ই বা শিকারি? অ্যালান কোয়াটারমেইনের জবানিতেই শোনা যাক তার এক অভিযানের বর্ণনা...যেখানে প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে তাকে। হারাতে হয়েছে সঙ্গীদেরকে। যেখানে সিংহ শিকার করতে গিয়ে আরেকটু হলেই নিজেই বনে যেতেন শিকার!
ভাইয়ের সাথে বাজি ধরে অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী লেখা শুরু করার পর যিনি শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চকর গল্পের স্রষ্টা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন তিনি হলেন স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। কম বয়সে চাকরিসূত্রে তিনি আফ্রিকা চলে যান এবং সে অঞ্চলের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান, যার ফলে আফ্রিকা মহাদেশের নানা জানা-অজানা বিষয় সম্পর্কে তিনি প্রচুর জ্ঞান অর্জন করেন এবং এই জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে ব্যবহার করেন তার রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস ও গল্পসমূহ রচনায়। দশ ভাই-বোনের মধ্যে অষ্টম হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড জন্মগ্রহণ করেন ১৮৫৬ সালের ২২ জুন, ইংল্যান্ডের নরফোকে। খুব অল্প বয়সেই কর্মজীবন শুরু হয়ে যায় পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে। মাত্র উনিশ বছর বয়সেই তাঁকে চাকরিসূত্রে পাড়ি জমাতে হয় আফ্রিকায়। সেখান থেকে ৬ বছর পর ফিরে এসে তিনি আইনশাস্ত্রে পড়াশোনা শুরুর পাশাপাশি সাহিত্যে মনোনিবেশ করেন এবং তাঁর জাদুকরী লেখনীর মাধ্যমে সৃষ্টি হতে থাকে 'সলোমন'স মাইনস্', 'শী', 'অ্যালান কোয়াটারমেইন' এর মতো অমর সকল দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চকর কাহিনীর। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড এর বই সমূহ যুগে যুগে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পাঠকদের দিয়ে গিয়েছে নানা বিচিত্র কল্পকাহিনীর এক অনন্য অভিজ্ঞতা, যার মূলে রয়েছে 'আমস্লোপোগাস', 'রিলিজিয়ন', 'অ্যালান কোয়াটারমেইন', 'শী' ইত্যাদি বিখ্যাত সিরিজ। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'ক্লিওপেট্রা', 'মন্টেজুমা'স ডটার', 'লিসবেথ', 'কুইন অফ দ্য ডন', 'ভার্জিন অফ দ্য সান', 'দ্য ঘোস্ট কিংস', 'মেরি', 'দ্য ট্রেজার অফ দ্য লেক', 'রেড ইভ' ইত্যাদিও উল্লেখযোগ্য। তাঁর বেশ কিছু বই বাংলাদেশি পাঠকদের সুবিধার জন্য অনূদিত হয়েছে বাংলা ভাষায়। বাংলা ভাষায় অনূদিত হেনরি রাইডার হ্যগার্ড এর অনুবাদ বই এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো 'শী', 'রিটার্ন অফ শী', 'দ্য ইয়েলো গড', 'দ্য ঘোস্ট কিংস', 'কিং সলোমন'স মাইনস', 'মন্টেজুমা'স ডটার', 'অ্যালান অ্যান্ড দ্য হোলি ফ্লাওয়ার', 'মার্গারেট', 'দ্য পিপল অফ দ্য মিস্ট' ইত্যাদি। এই খ্যাতিমান কাহিনীকার ১৯২৫ সালের ১৪ মে ৬৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন। এর পূর্বে তিনি ১৯১২ সালে ইংরেজ রাজপরিবারের পক্ষ থেকে 'নাইটহুড' উপাধি লাভ করেন।