২০২২ সালে তৃতীয় 'ওয়াশিংটন ডিসি বইমেলা'য় প্রধান অতিথি কবি আসাদ চৌধুরী মঞ্চে হাসান মাহমুদের সাথে 'বাংলার কথা কই' নিয়ে আলোচনায় বলেছিলেন:- "১৯৯৮-তে অটোয়াতে এক সাহিত্য অনুষ্ঠানে হাসান মাহমুদ আমাকে দুটো বই দিলেন, তার একটা 'বাংলার কথা কই'। বইটি আমি পাগলের মতো পড়েছি। বইটি আক্ষরিক অর্থেই বাংলার কথা। এতে তিনি বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, পালদের কথা, আর্যদের আগমনের কথা বলেছেন; আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, অতীশ দীপঙ্করের কথা বলেছেন। আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য, তরুণদের জন্য দেশকে যুক্তি দিয়ে, উদাহরণ দিয়ে তুলে ধরার কাজটি তিনি করেছেন এই বইতে। বাংলার ইতিহাস আমাদের ইতিহাস, আর কারোর ইতিহাস নয় এবং সত্যান্বেষী, যুক্তিবাদী হাসান মাহমুদ দিনের পর দিন সেই ইতিহাস লিখেছেন"। যদিও হাসান মাহমুদ-এর বিজ্ঞ লেখালেখি ইসলাম ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা বিষয়েই মূলত আবর্তিত, তিনি যে বিষয়েই লেখেন না কেনো তাঁর বাচনে শব্দ ব্যবহার জনিত শৈলী এবং তত্ত্ব ও তথ্যের তাৎক্ষণিক সংমিশ্রণ, একবাক্যে প্রকৃত পাঠাংশকে সুখদ করে তোলে। বর্তমান গ্রন্থে তিনি বাংলা ভাষা ও বাঙালীর অপক্ষপাত ইতিহাস, মৌলিকতা এবং সর্বোপরি তার ঐতিহ্য অনুসন্ধান করেছেন এবং সেই গদ্য রচনাতে তাঁর চিরায়ত নান্দনিক স্বরূপত্ব এবং যৌক্তিকতা প্রদর্শনে কোনও ব্যত্যয় ঘটান নি। -অধ্যাপক আবদুস সেলিম
মুসলিম রিফর্ম মুভমেন্ট'-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ক্যানাডা প্রবাসী হাসান মাহমুদ সুপরিচিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি লেখক, গীতিকার, সুরকার, আবৃত্তিকার, অভিনেতা, উপস্থাপক শারিয়া আইনের ওপরে গবেষক, লেখক ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের বক্তা। বাংলা ও ইংরেজীতে শারিয়া আইনের ওপরে তাঁর “শারিয়া কি বলে, আমরা কি করি” সহ বই ৫টি, শর্টফিল্ম ৪টি ও নিবন্ধ অজস্র। তিনি ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেস- এর উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য ও মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেস-এর ডিরেক্টর অফ শারিয়া ল' সহ বেশকিছু ইসলামী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপদেষ্টা ছিলেন। তাঁর আছে সাহিত্য- সংস্কৃতি বিষয়ে অজস্র নিবন্ধ, বেশকিছু গান, ছোটগল্প, ছড়া ও কবিতা, মুক্তিযুদ্ধের ওপরে উর্দু বই “পদমা সুখ হ্যায়”-এর বাংলা অনুবাদ “রক্তাক্ত পদ্মা, অজানা একাত্তর”, নাটকীয় ঢঙে বাংলার ইতিহাস- “বাংলার কথা কই” এবং ব্যঙ্গছড়া-কবিতা-গল্পের “উদভ্রান্ত প্রলাপ” বই