মানুষের জীবন এক বৃহৎ পরিমণ্ডল। বহুবিধ জ্ঞান ও সাধনার স্রোতধারা মিলেছে জগৎ সংসারে। শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিতে প্রয়োজন পুষ্টি আর মানসিক বিকাশে প্রয়োজন শিক্ষা। সময়ের সাথে সাথে শিক্ষার ক্রমবিকাশে প্রযুক্তি নিজস্ব স্থান করে নিয়েছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতে শিক্ষার পুরোটাই হবে প্রযুক্তিনির্ভর। আর বিজ্ঞানের ইতিবাচক ব্যবহারই পারে সবার জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে। মহান সৃষ্টিকর্তা শুধু মানুষের স্রষ্টা নন, তিনি সব প্রাণী আর জড়বস্তুরও স্রষ্টা। পশু-পাখি, উদ্ভিদ আর পাহাড়-পর্বত, নদী-সমুদ্র সবকিছু মিলেই এই দুনিয়া। পরিবেশ ও প্রকৃতির সীমাহীন ক্ষতিসাধন মানুষের জীবনকে করে তুলছে বিষময়। তাই স্রষ্টার সাধন ও তাঁর সৃষ্টির জন্য মঙ্গল ভাবনাই কেবল পারে একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে। আধ্যাত্মিক চর্চা যে প্রজ্ঞার উদ্ভব ঘটায় সব কর্মকাণ্ডে তা নীতিনির্ধারণী পথনির্দেশ করে। প্রজ্ঞাবান সফল মনীষীরা আমাদের সামনে সেই সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তাই শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ধর্ম ও সুফিবাদ এবং মনীষীদের জীবন দৃষ্টান্তের সমন্বয়ে এ গ্রন্থ এক সামগ্রিক প্রচেষ্টা-- যা বৃদ্ধি থেকে বিকাশ এবং প্রজ্ঞালাভ ও এর প্রয়োগে মানুষের কল্যাণ ভাবনায় সমৃদ্ধ জীবন গড়তে এক সহায়িকা।
শেখ বিবি কাউছার চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে উরকিরচরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম শেখ আবুল কাশেম, মাতা আয়েশা ছিদ্দিকা চৌধুরী। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে স্নাতক (সম্মান) ও তেজগাঁও কলেজ (ঢাকা) থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ছোটবেলা থেকেই সুফিবাদী ভাবধারা ও পরিবেশে বেড়ে ওঠা। যা তার অন্তরে স্রষ্টার সব সৃষ্টির প্রতি কল্যাণ ও ভালোবাসার বীজ বপন করে। বর্তমানে রাউজানের নোয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। তিনি কলেজের গার্লস’ইন রোভার স্কাউট লিডার; সদস্য, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি রাউজান; সভাপতি, প্রথম আলো বন্ধুসভা রাউজান; পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পিপলস ভয়েস’সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত। স্বামী সৈয়দ আতিকুর রহমানও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত। তাঁদের এক সন্তান সৈয়দ হাসানুজ্জামান। নানা বিষয়ে লিখলেও শিক্ষাভাবনা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সুফিবাদ তাঁর লেখার প্রিয় বিষয়। সত্য ও সুন্দরের সাধনায় সবাই হয়ে উঠুক অনন্য, এই লেখকের চাওয়া। তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখালেখি করেন। বই পড়া ও ভ্রমণ তার অন্যতম শখ।