যার থেকে গল্প শোনা শুরু, সে দাদী—নানীরও অক্ষরজ্ঞান ছিলো না। কত মধুর মধুর সে সব গল্প আজ হারিয়ে গেছে তাঁদের মৃত্যুর সাথে সাথে। তাঁদের সে বানানো গল্প এখনো বেঁচে আছে মুখে মুখে। কোনটা আবার প্রকাশ পেয়েছে কোন লেখকের সংকলনে, কিন্তু গল্পকার হওয়া হয় নি তাঁদের। এটাও এক ধরণের বঞ্চনা, এক ধরণের অন্যায়। বিদ্যানন্দ মাঠে মাঠে কাজ করতে গিয়ে এমন হাজার গল্পের সাক্ষী হয়েছে, আমরা চেয়েছি সেসব তুলে আনতে। যার গল্প তাঁর নামে প্রকাশ করতে। যে লিখতে পারে না তাঁর লেখা গল্পে বই প্রকাশ! অশিক্ষিত মানুষ আজীবনই গল্পের চরিত্র হয়ে গেছে এই বিশ্বে। এই বইয়ের মাধ্যমে এই প্রথম তাঁদের কল্পনায় আঁকা চরিত্রগুলো বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। ধন্যবাদ স্বেচ্ছাসেবীদের, যারা দিনের পর দিন রোদ বৃষ্টির মাঝে গল্প শোনার চেষ্টা করেছে, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে ঘুরে। গতবছর নিরক্ষরের গল্পগুচ্ছ—১ প্রকাশিত হবার পর আপনাদের আগ্রহ আমাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। তাই আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা আবার নেমে পড়ে গল্প সংগ্রহে। তারই ফসল এই নিরক্ষরের গল্পগুচ্ছ—২। আশা করছি নতুন সব গল্পের এই বইটিও আপনাদের ভালো লাগবে। এই বইয়ের সকল খরচ বিদ্যানন্দ বহন করলেও লাভের শতভাগ তুলে দেয়া হবে নতুন এই গল্পকারদের হাতে। —কিশোর কুমার দাস