সামান্য এডটেড: সময়টা তখন পালতোলা জাহাজের, যুদ্ধক্ষেত্র দখল করছে কামান আর বন্দুক। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনীর গুরুত্বও দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সেনা পরিবহন, রসদ সরবরাহ আর জলপথ দখলে রাখতে বিভিন্ন দেশ গড়ে তুলছে শক্তিশালী নৌবহর। সেই যুগের অন্যতম তিন প্রধান নৌসেনাপতির গল্পই নৌযুদ্ধ সিরিজ। এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছেন কোরিয়ান অ্যাডমিরাল য়ু সুন-শিন। পরাক্রমশালী জাপানি সাম্রাজ্যের করাল গ্রাস থেকে কোরিয়ার স্বাধীনতা বলা যায় অনেকটা একাই রক্ষা করেছিলেন তিনি। সাগরের কথা আসবে আর তাতে ওলন্দাজ আর ইংরেজদের কথা থাকবে না তা কী হয়! তাই নৌযুদ্ধ সিরিজে জায়গা করে নিয়েছেন মিখিয়েল ডি রুইটার আর হোরাশিও নেলসনও। ডি রুইটার লড়েছিলেন ফরাসী আর ব্রিটিশদের যৌথ নৌশক্তির বিরুদ্ধে। তার দক্ষ নেতৃত্বে ডাঙ্গায় মার খেয়েও সাগরে বিজয় ছিনিয়ে নিতে পেরেছিল তৎকালীন ডাচ রিপাবলিক। ফলশ্রুতিতে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকে তারা। আর নেলসনকে তো কৃতিত্বই দেয়া হয় নৌযুদ্ধের কৌশল আমূল পালটে দেয়ার জন্য। তিনি লড়াই করেছিলেন নেপোলিয়নের ফ্রান্সের সাথে। সেনাবাহিনী নিয়ে একের পর এক জয়ের পরেও ইংল্যান্ডকে যে কাবু করতে পারেননি নেপোলিয়ন তার অন্যতম কারণ তাদের নৌবাহিনী। নাইল আর ট্রাফালগারের যুদ্ধে নেপোলিয়নের সাজানো পরিকল্পনা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন নেলসন। কেন পড়বেন নৌযুদ্ধ সিরিজ? যদি ইতিহাস, যুদ্ধবিগ্রহ ইত্যাদি নিয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে বলব এটা মিস করা ঠিক হবে না আপনার। কাঠখোট্টা ভাষা পরিহার করে খুব সহজে বর্ণনা করা হয়েছে তৎকালীন নানা ঘটনা। সুতরাং পড়তে গেলে মনে হবে গল্পই পড়ছেন, ইতিহাস নয়। আর কে না জানে, সত্য কল্পনার থেকেও চমকপ্রদ হতে পারে!