অনুসন্ধিৎসু কিশোর সব্যসাচী বাবার লাল গাড়িটা নিয়ে চন্দ্রালোকিত রাতে বেরিয়ে পড়ে দুঃসাহসিক যাত্রায়। রোমহর্ষক ভয়ঙ্কর ভ্রমণকালে পরম আত্মত্যাগের পুরস্কার হিসেবে পৌছে যায় এক তাক লাগানো মনোহর স্বপ্নের দেশে। সেখানে রোবটকন্যা তামিমৌ-এর সহযোগিতায় বিভিন্ন পরিভ্রমণে অর্জন করে রোমাঞ্চকর সব অভিজ্ঞতা, আবিষ্কার করে বিস্ময়কর রাষ্ট্রীর ব্যবস্থার, যেখানে মানুষ, পশু-পাখি আর প্রকৃতি মিলে গড়ে উঠেছে এক অকল্পনীয় কল্যাণমূলক সমাজব্যবস্থা। এখানে সবাই সবার বন্ধু, কেউ কারো শত্রু নয়। নিয়ম ভাঙার শাস্তি ভয়াবহ, কিন্তু কেউ কোনো নিয়ম ভাঙেই না। স্কুলে শ্বাসরুদ্ধকর ভর্তি-পরীক্ষা নেই। সুদক্ষ রোবট-শিক্ষকের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে দেশব্যাপী একই উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা। শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর পানিও কাকচক্ষু স্বচ্ছ; তার ভেতর নির্ভয়ে চলাচল করে ঝাঁকে ঝাঁকে রঙ-বেরঙের মাছ। বনের অসুস্থ পশুরা নিজেরাই পশু-হাসপাতালে যায় চিকিৎসা নিতে! ভয়ঙ্কর ছোবলে আজদাহা সাপ গাড়িসুদ্ধ গিলে ফেলে ওকে, মনে হয় নিশ্চিত মৃত্যু! পরে বিস্ময়কর স্নেক-টানেল আবিষ্কার করে চমৎকৃত হয়। সব্য ভাবে, এরকম একটা সুন্দর কল্যাণরাষ্ট্রে কি রূপান্তর করতে পারি না আমাদের দেশটাকে। মুষ্টিবদ্ধ হয়ে ওঠে ওর হাত, দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় কঠিন হয়ে ওঠে পেশি- কেন পারি না, নিশ্চয় পারব!
জন্ম ১৯৫৮ সালে, সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি গ্রামে। সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সাতক্ষীরা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ডিভিএম ও এমএস এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ঢাকা থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৪ সালে বিসিএস প্রাণিসম্পদ ক্যাডারে যোগদান করেন। ২০১৭ সালে পরিচালক সম্প্রসারণ হিসেবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে অবসর গ্রহণের পরও বিভিন্ন সংস্থায় বিশেষজ্ঞ সেবা প্রদান করে চলেছেন। এফএও, বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে বাস্তবায়িত বেশ কয়েকটি প্রকল্পে নির্বাহী দায়িত্ব পালন করেন। আন্তর্জাতিক প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থা OIE-এর ন্যাশনাল কমুনিকেশন ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিআরএমপি প্রকল্প ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনে প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সংস্থা UNIDO-তে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সেমিনার, কনফারেন্স, ওয়ার্কশপ ও শিক্ষা সফরে যোগদান উপলক্ষে ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, চীন, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটান ভ্রমণ করেছেন।