অল্প কথায় নাতিদীর্ঘ কাহিনিকে বিমূর্ত করে তোলার সহজ বাহন হলো ছোট গল্প।মন কেনো কাঁদে?একেকজন একেক রকম উত্তর দেবে।তবে মজার ব্যাপার হলো "মন শূন্যে ওড়ে,আর পা থাকে মাটিতে।জীবনের করুণ বৈপরীত্য এখানেই।" আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে নিয়েই কিছুক্ষণ-বইটি রচিত। সত্য হলো কল্পকাহিনির চাইতে ও আশ্চর্যতরো।এটা আপ্তবাক্য। যে কাহিনির মূলে সত্যের স্পর্শ থাকে না,সে কাহিনি মূল্যহীন।এই বই এর সব গল্পগুলো প্রেম বিরোহ দিয়ে ভরা।নর নারীর প্রেম হলো সবচাইতে জটিলতম শিল্পকর্ম। প্রেম ও প্রণয় এই দুটি শব্দের ভেতর প্রেমজ অঙ্গিকারের বন্ধন না থাকলে প্রেমের কাহিনি বয়ান করা যায় না।প্রতিটি গল্পে নারী ও পুরুষের চরিত্রকে এমন জীবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে,দুটি চরিত্রেরই মনোজগৎ উন্মোচন করা হয়েছে। গ্রন্থটি পাঠ করলেই মনে হবে, জীবনের করুণতম অভিজ্ঞতার উৎস থেকেই জন্ম লাভ করেছে প্রতিটি চরিত্র। প্রেমকে টিকিয়ে রাখতে গেলে যেমন সৎ একনিষ্ঠ হৃদয়বৃত্তির প্রয়োজন।তেমনি প্রয়োজন প্রেমকথা বয়ান করার জন্য এক ধরনের নিষ্ঠা ও সততার। শক্তির সাথে সততার সম্মিলন সচারাচর ঘটে না।আমি চেষ্টা করেছি সেই বাস্তবতাকে তুলে ধরতে। প্রতিটি গল্প নর নারীর প্রেমকে উপজীব্য করে লেখা হয়েছে।অসাধারণ লিপি কুশল ও ধ্রুপদধর্মী এই গল্পগুলোয় প্রেম, প্রত্যাশা, বিরহ ও হেরে যাওয়া প্রেমিকের প্রতিশোধ পরায়ণ ব্যঞ্জনায় দেদীপ্যমান হয়ে উঠেছে। খুব সাধারণ, খুব পরিচিত কিছু ঘটনা দিয়ে গল্পগুলো লেখা হয়েছে।গল্পের শুরুতে মনে হতে পারে, আরে,এ সব ঘটনা তো আমরা দেখেছি, জেনেছি ,এবং প্রায়ই ঘরে ঘরে জীবন থেকে জীবনে ঘটে যাচ্ছে অহরহ। কিন্তু শেষে এসে মনে হবে এমনি তো হচ্ছে সবখানে। কোন কোন গল্পে হয়তো কিছুই ভাববেন না।তারপর ও গল্পগুলো পড়ে ভেতরে ভেতরে কখনো হাসবেন, কাঁদবেন, রেগে যাবেন, এমন হওয়া উচিৎ ছিলো বলবেন বা বোধহীন ভাবে চুপ থাকবেন। তারপর ----- নীরব একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলবেন, হায়রে জীবন! পরাজিত আমিত্যের শেষ আশ্রয় কি তাহলে আত্মনুকম্পা?
মাহাবুবা লাকির জন্ম যশোর শহরের তালতলায়।পিতা প্রয়াত মোসলেম আহমেদ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় ৭১সালে তাদের যশোরের বাড়ি পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ভস্মস্তপে পরিনত করলে তিনি খুলনা শহরের গগনবাবু রোডে নতুন বাড়ি নির্মান করেন। মাহাবুবার শৈশব ও কৈশোরজীবন সেখানেই অতিবাহিত হয়।তার কলেজ জীবন কাটে গোপালগঞ্জে। গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে ও কাজ করেন। কলেজে পড়াশোনার সময় সংসার জীবনে প্রবেশ করেন। বিয়ের পরও সংসার সন্তান নিয়ে বাকি পড়াশোনা শেষ করেন। স্বামী মোঃআতিকুর রহমান পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত আছেন।একমাত্র মেয়ে রাবেয়া বসরী বুশরা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে আহাসান উল্ল্যায়। এদেরকে নিয়ে ঢাকা শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এই অব্দি কবিতার বই পাঁচটি, উপন্যাস চারটি, ছোট দের ছড়ার বই দুইটি,সম্পাদনা করেছেন তিনটি বই।তিনি একাধারে কবি,গীতিকার, ছড়াকার ও সাহিত্যিক। তার সাফল্যের ঝুঁড়িতে আছে দেশ ও দেশের বাইরে পাওয়া বিভিন্ন পুরষ্কার। বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ সম্মাননা স্মারক উদযাপন ভারত ২০১৯,শমরেস বসু সাহিত্য পুরষ্কার ২০২০,লিটিল ফ্লাওয়ার স্বাধীনতা সম্মাননা ২০১৮, শিল্পীমন স্মারক সম্মাননা ভারত ২০১৭,জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন ২০১৭,সম্মাননা স্মারক আসল হেরা ইন্টারন্যাশনাল ২০২০,আরশিকথা সম্মাননা স্মারক আগরতলা ২০১৯,মানবতার কল্যাণে কাজের জনা সম্মাননা ২০১৯,বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান সাহিত্য সম্মাননা ২০১৮,১৫তম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ২০১৯,১২৭তম লালন স্মরণো ৎসব ২০১৯,ভালবাসা গান কবিতা ও গল্পকথা সম্মাননা ২০১৭,সাহিত্য দিগন্ত পান্ডুলিপি পুরষ্কার ২০১৯,বাংলাদেশ কবি পরিষদে সম্মাননা ২০১৯,বাসাসপ সম্মাননা ২০১৭।২০২২ শে পুরষ্কারের ঝুলিতে এসেছে কথা সাহিতক রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পুরষ্কার। আগরতলা আরশি পোর্টাল নিউজ থেকে নারী দিবসকে সামনে রেখে দেওয়া হয়েছে নারীশক্তি পুরষ্কার। এবারের বইমেলায় জীবনের সবথেকে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধুর ছেলাবেলা প্রবন্ধ ও উপন্যাস যুদ্ধ প্রেম ও নারী। ২০২২ এর ২১শের বইমেলায় এসেছে গবেষণালব্ধ বই সর্বনাশা ১৫ই আগাস্ট ও বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার। এসেছে কবিতার বই অনুরাগের স্পর্শ। তিনি মাওফা ওয়েলফেয়ারের সত্বার্ধিকারী, Owner of chirodin publication, পরিচালক অভিযাত্রা একাডেমিক কেয়ার,প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিশাল বাংলা সাহিত্য পরিষদ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু রাইটার্স ফোরাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী গ্রন্থগারিক সমিতি। সমাজকর্ম ও সাহিত্যে নিবেদিতপ্রাণ মাহাবুবা লাকি মানবকল্যাণে নিজেকে উৎস্বর্গ করার পাশাপাশি সৃষ্টিশীলতায় নিজের অধিষ্ঠানকে মজবুত করতে চান।