অনেকদিন থেকে সপরিবারে স্বদেশের বাইরে কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার একটা আকাঙ্ক্ষা মনের মধ্যে থাকলেও বিভিন্ন কারণে বিশেষত পেশাগত ব্যস্ততার জন্য হয়ে উঠছিল না। ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের দিকে ভাবলাম নিজে থেকে ভ্রমণের একটা সময় বের না-করলে সময় নিজ থেকে ছুটি দেবে না। কিন্তু, ভ্রমণপর্বটি কোথায় হতে পারে, এই প্রশ্নটি মুখ্য হয়ে ওঠে। অবশেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহর ও তার আশেপাশের কিছু সম্ভাব্য দর্শনীয় স্থানকে বিবেচনায় রেখেই একটা ভ্রমণসূচি নির্দিষ্ট করা হল। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল থেকে শিলংভ্রমণের কিছু বিশেষ সুবিধা আছে। বিদেশ-বিভুঁইয়ের দিকটা বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, সিলেট থেকে শিলঙের দূরত্ব অতটা বেশি নয়। যাতায়াত- সুবিধাও ভালো। কম সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করা যায়। ব্যয়বহুলতাও কম। 'প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড' খ্যাত শিলঙে আছে সবুজে ঘেরা নানা টিলা-পাহাড় ও আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পাহাড়ি-পথ। টিলা-পাহাড়ি রাস্তায় চলতে চলতে দেখা যায় ভাসমান সাদা মেঘের ভেলা। আছে দেখার মতো প্রচুর ঝরনাধারা। বাংলাদেশ থেকে বছরের যে-কোনও সময়ই শিলং ও তার আশেপাশের জায়গাগুলোয় ভ্রমণ করা নিশ্চয় কঠিন কিছু নয়। ভিসার ঝামেলা চুকিয়ে সড়কপথেই সিলেট থেকে সহজে ভ্রমণ করা যায়। সুতরাং একটা সংক্ষিপ্ত ভ্রমণে যাওয়া যায় শিলং। ভ্রমণ থেকে মানুষ আনন্দ পায়, কমবেশি উপভোগ করে।