“প্রতিষ্ঠিত সেলসম্যান হবার পদ্ধতি" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ বর্তমান যুগ বিশ্বায়নের যুগ। আধুনিক মানবজীবনে এই বিশ্বায়ন এক অনন্য প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। বিশ্বায়নের পরে সারা পৃথিবীতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ঘটে গেছে এক নীরব বিপ্লব। ফলে সেলসম্যান বা বিক্রয় প্রতিনিধির গুরুত্বও আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। এখন সেলসম্যান বা বিক্রয় প্রতিনিধি বলতে বিরক্তি উৎপাদনকারী মানুষকে বােঝায় না। তারা এখন নিত্যনতুন পদ্ধতির সাহায্যে তাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন সকলের দোর গােড়ায়। পণ্যের গুণাবলি বিচার বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন সবাইকে। এক্ষেত্রে সেলসম্যানকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। ডেল কার্নেগী তার প্রতিষ্ঠিত সেলসম্যান হবার পদ্ধতি’ গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলােকপাত করেছেন। আধুনিক যুগে কোনাে ক্ষেত্রেই এখন আর মানুষকে চার দেয়ালের। মধ্যে আটকে থাকতে হচ্ছে না। ইচ্ছে করলেই ইন্টারনেট, ই-মেইল ও কম্পিউটারের সাহায্যে বিশ্বের দূরতম দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তােলা যাচ্ছে। এভাবে বিক্রয় প্রতিনিধির সাথে সম্ভাব্য ক্রেতার একটি সুমধুর সম্পর্ক গড়ে উঠছে, যা অতীতে কল্পনাও করা যেত না। ডেল কার্নেগী প্রতিষ্ঠিত সেলসম্যান হবার পদ্ধতি গ্রন্থে আধুনিক বিক্রয়। প্রতিনিধির প্রধান উদ্দেশ্য ও কর্তব্য কি হবে, সে সম্পর্কে বিশদভাবে। আলােচনা করেছেন। বিশ্বায়নের যুগে যারা সেলসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের নানা ধরনের সমস্যার মােকাবেলা করতে হচ্ছে। তাদের জন্য ডেল কার্নেগীর প্রতিষ্ঠিত সেলসম্যান হবার পদ্ধতি একটি আকর-গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ গ্রন্থে নানা ধরনের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের পথ বাতলে দেওয়া হয়েছে। একজন সেলসম্যান কীভাবে তাঁর ওপর চাপিয়ে দেওয়া লক্ষ্যপূরণ করতে পারবেন, এ গ্রন্থে সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজেই সেলসম্যানদের জন্যে বইটির গুরুত্ব। অপরিসীম।
Ruhul Amin Babul কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা । জন্ম ১৯৫৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার গ্রামে | ১৯৭১ সালে আগরতলায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বি এ অনার্স এম এ | কর্মজীবনে সাংবাদিকতা, সাহিত্যসেবা ও প্রকাশনা শিল্পের সাথে জড়িত। বাংলাদেশের মৌলিক ছড়াসাহিত্য বাংলাদেশ” ও “পল্লীকবি জসীমউদদীন” প্ৰকাশিত হয়।