সম্প্রতি সারা বিশ্বে একটি ভাইরাস রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। রোগটির নাম কোভিড-১৯ যা এক ধরনের ভাইরাস জীবাণু দ্বারা হচ্ছে। এ রোগের প্রতিরোধমূলক টিকা উদ্ভাবিত হলেও প্রতিষেধক এখনো পাওয়া যায়নি। এখনো এ রোগে রোজই বিভিন্ন দেশে মানুষ মরছে। এরূপ আরও শতাধিক ভাইরাসঘটিত রোগ মানুষকে প্রতিনিয়ত সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। তাই এসব ভাইরাসজনিত রোগের বিরুদ্ধে চিকিৎসাশাস্ত্রে গবেষণার ওপর সম্প্রতি বেশ জোর দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতিতে এমন কিছু উদ্ভিদ আছে যেগুলোর ভাইরাসবিরোধী ক্ষমতা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সারা বিশ্বের ঔষধি গাছের একটি তালিকা করেছে। সে তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বে প্রায় ২০,০০০ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে যেগুলোর ঔষধি গুণ রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে পাঁচশতাধিক উদ্ভিদ প্রজাতি, ভারতে রয়েছে প্রায় ৩০০০ প্রজাতির। এসব উদ্ভিদের মধ্যে শতাধিক উদ্ভিদ রয়েছে যেগুলো ভাইরাসঘটিত রোগ চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। লেখক ঔষধি উদ্ভিদ চতুর্থ খণ্ড বইয়ে মানুষের ভাইরাসঘটিত রোগ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করে সেসব রোগের চিকিৎসায় কোন উদ্ভিদ কিভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে তার উল্লেখ করেছেন। এ বইয়ে মোট ১৩টি ঔষধি গাছ দিয়ে মানুষের ১০১টি রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। গাছগুলো চেনার জন্য দেওয়া হয়েছে রঙিন ছবি। প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসার ক্ষেত্রে আশা করি বইটি অনেকের সহায়ক হবে।
কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রায় তিন দশক ধরে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে এম.এসসি.এজি (উদ্যানতত্ত্ব) ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগতভাবে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। সর্বশেষ অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রয়েছে কৃষিক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুদীর্ঘ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ফসল উৎপাদনের বিশেষ পারদর্শীতা, শিক্ষকতা ও প্রশিক্ষণের দক্ষতা। এর ওপর ভিত্তি করে তিনি লিখেছেন ‘বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল’ বইটি।। কৃষি বিষয়ে তিনি ইতােমধ্যে অনেকগুলাে বই লিখেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা ৮৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে যার মধ্যে ৬২টি বই কৃষি বিষয়ক। কৃষি বিষয়ক লেখালেখির জন্য তিনি ২০১২ সালে পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ একাডেমী অব এগ্রিকালচার স্বর্ণপদক।