ফ্ল্যাপ লোকে বলে জীবন বইয়ের মতো। আদোতে জীবন তা নয়। জীবন একটা পরীক্ষার খাতা। সেই খাতার সাদা পাতাগুলো নিজের হাতে লিখে লিখে ভরাতে হয়। প্রশ্নের উত্তর লিখতে ভুল হয়, বানানের ভুল হয়, অসংখ্য কাটাকুটি হয়। কিছু উত্তর মুছে ফেলতে হয়। মুছে ফেললেও সেখানে ইরেজারের ঘষামাজা দাগ দগদগে হয়ে থাকে। ঝরঝরে হতের লেখায় চমৎকার টু দি পয়েন্ট উত্তর হয় কিছু প্রশ্নের। জীবনের প্রশ্নপত্রে কিছু সিন কোশ্চেন থাকে, অভিজ্ঞতা দিয়ে যার মুখোমুখি হওয়া যায়। উত্তর করতে পারা যায়। আশাব্যঞ্জক নম্বরও পাওয়া যায়। কিছু প্রশ্ন থাকে আনসিন সিচুয়েশনের মতো। কোনো মুখস্থবিদ্যাই তখন আর কাজে লাগে না! কিছু মুখস্থ প্যারাগ্রাফ থাকে, থিওরি মেনে উত্তর করে তরতর করে ফার্স্ট পজিশনে চলে যাওয়া যায়। আবার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় ভাগ্যকে সহায় করে, লেগে গেলেই মাৎ! কিছু নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন এসে যায় জীবনের বাঁকে, যখন দুটো রাস্তার দুটোকেই খুব আপন মনে হয়। পরীক্ষার শেষে উত্তর মেলাতে গিয়ে জানা যায়, দুটো উত্তরই ভুল ছিল! জীবনের পরীক্ষায় ফাইনাল বলতে কোনো কথা নেই। একটার পর একটা ফিনালে আসতেই থাকে। কোনোটাতে টেনেটুনে পাশ করা যায়, কোনোটা হাজার প্রচেষ্টার পরও ডাহা ফেল। তবে রিটেক দেওয়ার সুযোগটা হয়তো দৈবচয়নেই খুব কম লোকের সৌভাগ্য হয়!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘টুইটুবানির ফুল’ নামের পাঠকপ্রিয় ধারাবাহিক বড়গল্প দিয়ে লেখালেখির শুরু ১৯৮৮ সালে খুলনায় জন্ম নেওয়া আফসানা আশা’র। পড়াশোনা ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে, ভালোবাসার জায়গাও সাহিত্য। ব্যক্তিগত জীবনে এক কন্যাসন্তানের জননী। নিজেকে রঙধনুর মাম্মাম বলে পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।