ক্যাসিওপিয়া নামের ছোট দুর্গম গ্রামটিতে প্রবাসী এক যাজক, মনসিনিয়র ‘ফিলিক্স ব্যাথরি’ হঠাৎ করে আয়োজন করেছেন ‘ফেইথ হিলিং’ এর। যেখানে জটিল রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র বিশ্বাস দিয়ে। এমন সব রোগের চিকিৎসা, যা বিজ্ঞান কখনোও দিতে পারেনি। ওদিকে, ঠিক ছয় বছর আগে সেইন্ট ফ্রেড্রিক্স দ্বীপ থেকে আলিফ ফিরে আসে এক অশুভ ঈশ্বরের চোখে চোখ রেখে। এমন এক অভিজ্ঞতা ছিল সেটি, যা কোনো মানুষেরই উপলব্ধি করা উচিত না। হয়তো এজন্যই অস্বাভাবিক এক ভয় তার পিছু নেয়। সে বুঝে উঠে না এই ভয়ের অর্থ। শুরু হয় দুঃস্বপ্ন তার, এভাবেই। রাতের পর রাত তাকে হামলা করতে থাকে সেই অনন্তকালের দুঃস্বপ্ন। উপায় না দেখে বাধ্য হয়ে সিভিলিয়া স্টেইট এসাইলামে সে ভর্তি হয় সাহায্যের আশায়। অন্ধকার রুমে ভয়ে জর্জরিত হয়ে কাটতে থাকে তার রাত আর দিন। যখন সব আশা হারিয়ে ফেলতে নেয় সে, ঠিক তখনই তার দুয়ারে উপস্থিত হয় ঈয়াসি ঈনা। এক নতুন আশা নিয়ে। নিজেদের প্রয়োজনেই আলিফ, ঈনা এবং (মৃত) রিফাত স্যার পরবর্তিতে মনসিনিয়র ফিলিক্স ব্যাথরির দরজায় উপস্থিত হয়। সাহায্যের উদ্দেশ্যে, মুক্তির আশায়। কিন্তু মেনে নিবে কি তারা মনসিনিয়র ফিলিক্সের দর্শন? সত্যিই কি মনসিনিয়র ফিলিক্স তাদেরকে সঠিক পথ দেখাতে পারবে, শুধুমাত্র বিশ্বাস দিয়ে? নাকি ফেইথ হিলিং চক্রটির গোপন সত্য বের করবে তারা কৌতূহলের কাছে হার মেনে? জাগিয়ে তুলবে প্রাচীন এক ভয়কে, যা লুকিয়ে ছিল ক্যাসিওপিয়ার ইট-পাথরের দেয়ালের অন্তরালে। ঠিক যেমনভাবে হেরেছিল তারা কৌতূহলের কাছে গতবার।