একজন ওসি; মাইনুল হুদা। যার পরিবার নিয়ে অনেক কানকথা শোনা যায়৷ যিনি কখনো কাউকে তার বাসায় নিতেন না৷ এমনকি আশপাশের পাড়া-প্রতিবেশিরাও জানেন না তার ঘরে ঠিক কতজন সদস্য থাকে। কারো মতে দুইজন, কারো মতে তিনজন কিংবা কারো কারো মতে ওই ঘরটিতে মাইনুল হুদা ছাড়া আর কেউ থাকেন না। সবাই শুধু জানে তার একমাত্র মেয়ের গল্প; যে কি না দূর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে যায়। ওথেলো'স সিন্ড্রোমে আক্রান্ত এক মানসিক রোগী। যিনি একজন অতীত খুনি। নির্মমভাবে খুন করেছিলেন নিজ স্ত্রীকে। বত্রিশ বছর পর মানসিক হাসপাতাল থেকে কেউ একজন নিয়ে আসে তাকে। তারপর থেকে শুরু হয় একের পর এক খুন। এক রহস্যময় বাগান; যেখানে যাওয়ার পর কেউ আর সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে না। কথিত আছে এই বাগানে অদ্ভুত সব ফুলের দেখা পাওয়া যায়; যে ফুলগুলোর কলিতে লুকিয়ে থাকে মানুষের মুখ৷ একজন সম্ভাব্য Organized সিরিয়াল কিলার। যে কি না খুব ঠাণ্ডা মাথায় তার শিকারকে দূরে পূর্ব নির্ধারিত কোনো জায়গায় নিয়ে গিয়ে শান্তিমতো হত্যা করে এবং হত্যার স্থান থেকে দূরে কোথাও নিয়ে মৃতদেহটি ফেলে রেখে যায়। মাইনুল হুদা কিংবা সেই মানসিক রোগী কিংবা Organized সিরিয়াল কিলার কিংবা সেই রহস্যময়ী বাগান; সবকিছু বাধা পড়ে আছে একটি জায়গায়।
মোঃ সহিদুল ইসলাম রাজন জন্ম ১৯৯৫ সালের ১৯ শে জানুয়ারী নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার চরহাজারী গ্রামে। বাবা হুমায়ুন কবির, মা সুলতানা রাজিয়া। নিজ গ্রামে প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষে সরকারী মুজিব কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রকাশিত বই- শেষবেলার কাব্য এবং আমার একটি নাম দিও।