কবির প্রেম মানেই নারীকল্পনার কবিতা অথবা অমৃত বোধের পাতা ও পাতাল যাত্রায় জলের উপর কবিতার বুদবুদ হয়ে ওঠা সৌন্দর্য্যরে নামতা। তাহলে, ঠিক যে পরিমান অনুভবের ব্যাথা অথবা আনন্দের দূরবর্তী কিছু অক্ষরের নিকটে এসে স্বর্গীয় মিথস্ক্রিয়ায় কম্পোজিত শব্দের নামই ভালোবাসা। যুগে যুগে এই প্রেম ডাইনোসরের চুম্বনে, মুখের লালায় সৃষ্টি হয়েছিল প্রথম। সেই থেকে ভালোবাসা সব সময়ই কবিতা। কেউ কেউ লেখে, কারণ সে নিয়তই কবি হয়ে উঠতে চায়। যে লেখে না, লিখতে পারে না সে-ও অনুভবের পিছনে বন্ধ দুয়ারের কড়া নাড়া শব্দ হয়ে থাকে এবং যারা লেখে তাদের শব্দ ছুঁয়ে উত্তাপ নেয়। কবি তাহলে অসম্ভব ঘোরের মধ্যে স্বপ্ন ওড়ায়, হৃদয় গুমড়ে ওঠায় প্রেম। সে তখন একা হতে হতে শব্দহীন কাঁদে। ফলে, ইব্রাহীম খলিলের ভালোবাসা নয়, কিন্তু ‘ইদানীং তুমি’ গ্রন্থের লেখা পদ্যগুলোয়... ভালোবাসার যে পরিমান ব্যক্তিগত অনুসঙ্গ নিমজ্জিত আছে, তার শিল্পরূপ কতোটা পার্থক্য হয়ে রচিত হয়েছে, পাঠক হয়তো তার পাঠক্রিয়ায় কবির বায়োলজিক্যাল আইডেন্টিটি টের পাবেন। হয়তো, লেখাগুলো কবির প্যাটার্ন হয়ে দাঁড়িয়ে পড়বে আমাদের মনেও। আবার এ-ও বলা যায়, ভালোবাসা সর্বত্রই অরক্ষিত, সুন্দর, মুক্ত ও স্বাধীনÑ এই দূর্গের সুরক্ষা কবি নিজেই। তবুও, বাতাসে ভেসে বেড়ানো তুলোবীজের মতো নতুন টানের লোভে একটু একটু করে সেই ভালোবাসাকে নামতার বোল শেখালে, ইদানীং তুমি’র এই পদ্যগুলোও সশস্ত্র হবে ভেনিশিংক্রীমের মতো চকচকে হবে...। -হেনরী স্বপন, কবি