এক অপচয়িত প্রতিভার নাম ডিলান টমাস। প্রতিনিয়ত তিনি নিজেকে ধ্বংসের দিকে দ্রæতগতিতে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর এই নিজেকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়াকে ডিলান-বান্ধব মার্কিন লেখক অধ্যাপক ডোনাল্ড হলের কাছে ‘প্রকাশ্য আত্মহনন’ বলেই মনে হয়েছে। ডিলানের সহকবি আর্চিবল্ড ম্যাকলিশ একদা ডিলানকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘জীবনের বাকি পঁয়ত্রিশ বছর কী করবে?’ ডিলান নির্দ্বিধায় জবাব দিয়েছিলেন, ‘কবিতা লিখব, রমণী রমণ করব এবং বন্ধু-বান্ধবকে ল্যাং মারব!’ বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক ফখরুজ্জামান চৌধুরী জন্ম (৫ জানুয়ারি, ১৯৪০-১২ জুন, ২০১৪) ষাটের দশক থেকে বিশ্বসাহিত্যের বহু সাড়া জাগানো গ্রন্থ অনুবাদের পাশাপাশি শিশুসাহিত্য, গল্প, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা, রম্যরচনাসহ নানাবিধ বিষয়ে লেখালেখি করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ ‘ঐরাবত ও অঙ্কুশ’, ‘রিপভ্যান উইঙ্কেল’, ‘আনাবাজ’, ‘দূরদিগন্ত’, ‘প্যালেস্টাইন প্রতিরোধের কবিতা’, ‘জনারণ্যে কয়েকজন’, ‘একা ও একাকী’, ‘লেখকের কথা’, ‘হাড়কিপটে বুড়ি’, ‘রাজা আর্থারের দরবারে’, ‘যাদুর রাজা হুডিনি’, ‘আঙ্কল টমস কেবিন’, ‘রবিনসন ক্রুশো’, ‘হাঞ্চব্যাংক অব নটরডেম’, ‘ট্রেজার আইল্যান্ড’, ‘রাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ’, ‘হে দুঃখ বিদায়’, ‘বিকিকিনির প্রেম’, ‘হিরোশিমার অগ্নিশিখা’ ইত্যাদি। সাহিত্যে অবদানের তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভ‚ষিত হয়েছেন।
ফখরুজ্জামান চৌধুরী : জন্ম চাঁদপুর, ৫ জানুয়ারি। ১৯৪০। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য স্নাতক (১৯৬০) ও স্নাতকোত্তর (১৯৬১) ডিগ্রি | অর্জনের পর বাংলা একাডেমীর বৃত্তিপ্রাপ্ত গবেষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বছর দুয়েক লােকসাহিত্য সম্পর্কে গবেষণা করেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর এখন পুরােপুরি লেখালেখি আর পড়াশােনায় নিমগ্ন । বিদেশে প্রশিক্ষণ আর সেমিনার-সিম্পােজিয়ামে। অংশগ্রহণের ফলে তার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার ঋদ্ধ হয়েছে । প্রবাসী দুই কন্যার বর্তমান আবাস জাপান আর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ তাঁর সাম্প্রতিক আনন্দের উৎস। পঞ্চাশাধিক গ্রন্থের গ্রন্থকার ফখরুজ্জামান চৌধুরী অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার ১৪০০ সাল ও বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ২০০৫ অর্জন করেছেন ।