যে ভূগোল ও চেতনাগর্ভে ফাহাদের কবিতা জন্য হয়। তার আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা খুবই নাগরিক এবং নিজস্বতাগুণে তাৎপর্যময়। গ্রন্থাবন্ধ কবিতাগুলো কোনো এক মানবিক প্রবণতা দ্বারা পৃষ্ঠ না হয়ে জীবন ও অনুভবের বহুপ্রান্তকে ধারণ করছে উপলব্ধির প্রেরণায় ও সৃজনশীলতার স্বতঃস্ফূর্ততায়। একরৈখিকতা ভেঙ্গে বহুরৈখিকতায় উন্মুক্ত হয় কবিতাগুলোর আবেগ ও যুক্তির মিলিত রৌদ্র-জলের প্রবাহ, অন্ধকার ও নৈরাশ্যকে কাল এবং মহাকালের জিজ্ঞাসায় ঠেলে দেয় ইতিহাস-ঐতিহ্যবোধ- সমাজমনস্কতায়। ভালবাসায় অবরোধ, প্রেমে বেদনা তাই সেয়ানা গুন্ডার মতো 'উজাড় সাতার শেষে গলে নামে বিষ বেদনার ঢল'। প্রণয় ও পার্থিব ব্যথায় বায়বীয় দৃশ্যরা যেন ক্যালেন্ডারের দিনগুণে বাড়ি ফেরার, ম'ত কবি জীবন্ত কবরে শুয়ে যেন নিঃশ্বাস রাখছে শেষ তাকবীরের মাগরীবে। দৃষ্টি ও ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অনুভবের আলোয় ফাহাদ তৈরী করেছেন তার কসমোপলিটান প্রতিভাস, মানুষের চিরন্তন অসুখ, অবসাদ ও কান্তির পাঠ। কংক্রিট খনন করে তুলে এনেছেন বহতা সময়ের ক্রর থাবা, সম্মোহন ও আত্মমগ্নতা। তবে ব্যক্তিবাদী একঘেয়েমিতে নিঃশেষিত হয়ে যায়নি কবিতাগুলো। অনেকটাই আত্মমগ্ন, নির্জন ও নগরনৈরাশ্যপীড়িত স্বপ্ন ও কল্পনার মুখোমুখি চলে যাচ্ছে বাড়ির ঠিকানায়... স্থির আশাবাদে প্রত্যয়ী নয়, ফলে মুক্তির প্রশ্নটিও বহুরৈখিতায় উন্মুক্ত এবং আন্তরিক অনুসন্ধানের বিষয়- কখন, কেন, কিভাবে, কার ঘর? — আলী আফজাল খান
ভালো নাম আমিনুর রসুল চৌধুরী ফাহাদ। জন্ম ২০০৪ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর। পিতাঃ আশারাফ উদ্দিন চৌধুরী। মাতাঃ স্বপ্না আক্তার। পৈত্রিক নিবাস চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায়। স্কুল জীবন মামার বাড়িতেই কেটে যায়। তিনি ২০২০ সালে নিজামপুর মোসলিম হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। মহাজনহাট ফজলুর বর্তমানে মহাজনহাট রহমান স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়রত আছেন। তিনি চট্টগ্রাম এর আগ্রাবাদ এলাকার সাহিত্য সংগঠন 'শব্দ কুঠির' থেকে প্রকাশিত মাসিক সাহিত্যের ছোট কাগজ 'শব্দ ফানুস' এর একজন নিয়মিত লেখক।